নোয়াখালী থেকে নাগরিক সাংবাদিক রুবেল পাটওয়ারী
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৩ ১৮:০৪ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৩ ১০:৪৪ এএম
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। প্রবা ফটো
নোয়াখালী সদরের পৌর কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিয়েছেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। এ সময় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ক্লাস নেন তিনি। রবিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে স্কুলটিতে পরিদর্শনে গিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা ক্লাস নেন তিনি।
ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘নিয়মিত পড়াশোনা ছাড়া ভালো ফল অর্জন করা সম্ভব নয়। অধ্যবসায়ী মানুষ সফল হবেই। মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। বাবা-মায়ের কথা শুনতে হবে। শিক্ষকরা যে পড়াশোনা দেন তা জমিয়ে রাখা যাবে না। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করতে হবে। কখনো হতাশ হবে না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বপ্ন থাকতে হবে তাহলে বড় হওয়া যাবে। যেটা ভালো লাগে না, সেটা করবে না। তোমরা চাইলেই দেশটা পরিবর্তন করে দিতে পারবে। তাই পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে মানুষের সেবা করতে হবে। তথ্য ও প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো গ্রহণ করতে হবে।'
স্নেহা চ্যাটার্জী নামে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে, ‘জেলা প্রশাসক স্যারকে কখনও সামনে থেকে দেখিনি। আজকে প্রথম দেখলাম। আমাদের কাছে খুব ভালো লেগেছে। এই স্মৃতি সারা জীবন মনে থাকবে।’
উম্মে আয়মান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ডিসি স্যার যখন ক্লাসে ঢোকেন, তখন বুঝতেই পারিনি উনি জেলা প্রশাসক। ডিসি স্যারকে শিক্ষক হিসেবে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তিনি আমাদের ক্লাস নেবেন কখনও কল্পনাও করিনি। আমাদের লেখাপড়া শিখে বড় হওয়ার উৎসাহ দিয়েছেন।'
মারিসা বিনতে ফাইজা নামে আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘ডিসি স্যারের কেবল নাম শুনেছি। আজ দেখলাম স্যারকে। তিনি অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। সবাই কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। আমরা মানার চেষ্টা করব।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ডিসি স্যার আকস্মিক স্কুলে এসে শিক্ষার্থীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে লেখাপড়ার খোঁজখবর নিয়েছেন। এরপর শিক্ষকদের সঙ্গে স্কুলের নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। আমরা স্যারকে এভাবে পেয়ে খুশি হয়েছি।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের খবর নিতে হঠাৎই গিয়েছিলাম। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাসে গিয়েছি। তাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।’
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অজিত দেবসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।