× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঢাকায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ জানাল বিআইপি

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪ ২০:১৯ পিএম

আপডেট : ০৪ মে ২০২৪ ২১:০৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় কংক্রিটের জঞ্জাল বাড়ছে, সমান তালে কমছে সবুজের পরিমাণ। এতে নগরীতে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে তাপমাত্রা। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক দশক আগেও নগর-পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা ও জলাশয় বিদ্যমান ছিল। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর স্থাপনা তৈরিতে উজাড় হয়েছে সবুজ এলাকা। 

শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) উদ্যোগে রাজধানীর বাংলামোটরস্থ প্ল্যানার্স টাওয়ারে ‘ঢাকায় তাপদাহ: নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দায় এবং করণীয়’ শীর্ষক পরিকল্পনা সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা।

বিআইপির সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আরও বক্তব্য দেন  বিআইপির ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লিঁয়াজো পরিকল্পনাবিদ আবু নাইম সোহাগ, বোর্ড সদস্য (রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন্স) পরিকল্পনাবিদ হোসনে আরা, পরিকল্পনাবিদ রেদওয়ানুর রহমান প্রমুখ। 

বক্তারা জানান, ঢাকা মহানগরে তাপমাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ থেকে দেড় ডিগ্রি সেলিসিয়াস বৃদ্ধি পেলেও ঢাকার কোনও কোনও এলাকায় ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ হিসাবে তারা বলছেন, কয়েক দশক আগেও নগর পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী ঢাকায় পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা ও জলাশয় ছিল। কিন্তু সরু রাস্তার পাশেই উঁচু ভবন তৈরি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক জলাশয় ও সবুজ এলাকা ধ্বংস করা হচ্ছে। ময়লার ভাগাড়, ইটভাটা, যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া থেকে তৈরি বায়ুদূষণে নগরের তাপমাত্রা বাড়ার পাশপাশি অতি ক্ষুদ্র কণার কারণেও নগরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার বাতাসে উত্তাপ বাড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস। 

২০১৯ সালে করা বিআইপির গবেষণার উদাহরণ দিয়ে অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ ভাগ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয় ৭৭ দশমিক ১৮ ভাগ আর ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে। ২০২৩ সালে বিআইপি’র প্রকাশিত আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ২৮ বছরে রাজধানী ঢাকার সবুজ এলাকা কমে মাত্র ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; অন্যদিকে জলাভূমি নেমে এসেছে মাত্র দুই দশমিক নয় শতাংশে। যদিও নগর পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকার কথা। পাশাপাশি ভবনের নকশায় প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচল ব্যাহত করে আবদ্ধ, কাচ নির্মিত ঘর ও এসি ব্যবহারকে মাথায় রেখে ভবন নির্মাণের প্রবণতার কারণেও ঢাকা নগরীর তাপমাত্রা বাড়ছে।

 এ সময় সবুজ ও জলাশয় সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি। ঢাকা শহরের বায়ুর মানদন্ড পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত নিম্নমানের মন্তব্য করে আবু নাইম সোহাগ বলেন, রাতের আঁধারে খিলগাঁও শহরে যে কয়টি জলাভূমি ছিল তা উন্নয়নের নামে ভরাট করা হচ্ছে। কাগজে কলমে ঢাকা শহরে যে পরিমাণ খাল অথবা জলভূমির পরিমাণ উল্লেখ রয়েছে বাস্তবে তা নেই। নগরায়নের নামে পার্ক-উদ্যান এবং জলাভূমি ভরাট করা হচ্ছে, যা শহরে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অন্যতম কারণ। 

পরিকল্পনাবিদ রেদওয়ানুর রহমান বলেন, ঢাকা শহরে পাঁচ থেকে দশ শতাংশ জনগণ মূলত এসি ব্যবহার করে। যা ঢাকা শহরের তাপমাত্রা পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান। এটি জলবায়ুরও ক্ষতি সাধন করছে। সরকারের উচিত এ ধরণের বিলাসবহুল পণ্যের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং জনগণকে তা মানার জন্য আহ্বান জানানো। 

তিনি আরও বলেন, কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানো না গেলে শহরে সবুজায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি করলেও এ শহরের তাপমাত্রা পরিবর্তনে তেমন ভূমিকা রাখবে না।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা