পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০১ পিএম
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১৩ পিএম
প্রতীকী ছবি
রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেকে গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে চিকিৎসাধীন শেষ মানুষটিও চলে গেলেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লিজা।
একই ঘটনায় লিজার আগে মারা যান তার বাবা-মা, ভাই-বোন ও নানি। এ নিয়ে একে একে না ফেরার দেশে চলে গেলেন পরিবারটির ছয় সদস্যই।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় লিজার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
গত ১২ এপ্রিল ভোরে পশ্চিম ভাসানটেক এলাকায় একটি দুই তলা বাড়ির নিচতলায় আগুনে দগ্ধ হন এই ছয়জন।
তারা হলেন- লিটন চৌধুরী ও সূর্যবানু দম্পতি এবং তাদের তিন সন্তান ১৮ বছর বয়সি লিজা, নয় বছরের সুজন, সাত বছরের লামিয়া এবং সূর্যবানুর মা মেহেরুন্নেছা। তাদের পাঁচজন মারা গেছেন আগেই।
তাদের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার চাঁদগাঁও গ্রামে। থাকতেন মিরপুরের ভাসানটেক এলাকায়। আসবাব ব্যবসায়ী লিটন চৌধুরীর ছেলে-মেয়েরা সবাই পড়ালেখা করত।
পুলিশের ধারণা, জমে থাকা গ্যাসই আগুন লাগার কারণ।
ঘটনার পর ভাসানটেক থানার এসআই নাঈমুল ইসলাম হৃদয় জানিয়েছিলেন, বাড়িটিতে রান্নার জন্য ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে ছিল। পাইপ দিয়ে সেই গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয় চুলায়। ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সবাই দগ্ধ হয়।