প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০২ পিএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর বাড্ডা আফতাবনগর এলাকার একটি সেলুনের ভেতর থেকে তারেক মিয়া নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে আফতাবনগর সি ব্লকের ২ নম্বর রোডের লিজেন্ড হেয়ার স্টুডিও নামে সেলুনের ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। এ ছাড়া রাজধানীর মতিঝিল থানার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের বিপরীত পাশে ফুটপাথ থেকে অজ্ঞাতনামা (৬৫) এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাড্ডা থানার এএসআই মো. সোহরাব হোসেন জানান, সকালে খবর পেয়ে আফতাবনগরে অবস্থিত ওই সেলুনের সাটার ভেঙে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সে ফ্যানের হুকের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলে ছিল।
তিনি আরও জানান, ওই যুবক সেলুনে কাজ করত এবং সেলুনের ভেতরেই থাকত। সকালে অন্য কর্মচারীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে সেলুনের সাটার ভেঙে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যেকোনো সময় গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই যুবক।
মৃত তারেকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার নয়নপুর গ্রামে। বাবার নাম সুজন মিয়া। মৃত তারেকের সহকর্মী দেবাশীষ জানান, সুজন সাত দিন ধরে এই সেলুনে কাজ করত। সেলুনের ভেতরেই থাকত। গতরাতে কাজ শেষ করে সেলুনের ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ১০টার দিকে সেলুনের সাটার নক করলে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে থানায় খবর দিই। পরে পুলিশ এসে সাটার ভেঙে তারেকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। তবে কী কারণে তারেক গলায় ফাঁসি দিছে, তা আমাদের জানা নেই।
মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ চৌধুরী জানান, আমরা খবর পেয়ে মতিঝিল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে বিপরীত পাশে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় তাকে দেখতে পাই। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহতের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় লোকজনের মুখে জানতে পারি ওই ব্যক্তি এলাকায় ভবঘুরে প্রকৃতির ছিল, আমাদের ধারণা অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবুও ময়নাতন্ত্রের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আমরা সিআইসি ক্রাইম সিনকে খবর দিয়েছি। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা যাবে বলে জানান তিনি।