সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিড়ে যাত্রীদের মৃত্যু, মামলায় গ্রেপ্তার ৫

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দুই লঞ্চের মধ্যে ধাক্কা লেগে রশি ছিড়ে পাঁচ যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের  যুগ্মপরিচালক  ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে মামলাটি করেছেন। মামলায় এমভি ফারহান-৬ এবং এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের  মাস্টার (চালক) ও ম্যানেজারসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছিল।  

বিআইডব্লিউটিএ জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

আসামিরা হলেন এমভি ফারহান লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার আব্দুর রউফ হাওলাদার(৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার সেলিম হাওলাদার (৫৪),ম্যানেজার ফারুক খান(৭০),এমভি তাসরিফের  প্রথম শ্রেণির মাস্টার মিজানুর রহমান(৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মনিরুজ্জামান (২৭)।

মামলায় বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ২ টা ৫৫ মিনিটে সদরঘাট টার্মিনালের ১১ নম্বর পল্টুনে এমভি তাসরিফ বার্থিং(নোঙর) করে থাকা অবস্থায়  এমভি ফারহানের চালক বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে ১১ নম্বর পন্টুনে ঢোকার সময় তাসরিফ লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে তাসরিফ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। সেটি দ্রুত গিতেতে এসে পন্টুনে অপেক্ষমান যাত্রীদের আঘাত করলে তারা নদীতে পড়ে যায়। এতে এক পরিবারের তিনজনসহ ৫ যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ফারহান এবং তাসরিফ লঞ্চের দায়িত্ব  অবহেলা আছে।

মৃতরা হলেন মোহাম্মদ বিল্লাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা(২৬), তাদের কন্যা মাইশা(৪), মো. রবিউল (১৯) এবং রিপন হওলাদার (৩৮)।

এ ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই লঞ্চের যাত্রা বাতিল করেছে বিআইডব্লিউটিএ।