প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০৪ পিএম
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৪২ এএম
সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। কমিটিকে আাগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ফারহান লঞ্চের পাঁচ স্টাফকে আটক করা করেছে।
দুর্ঘটনায় যে পোশাক কর্মী পরিবারসহ প্রাণ হারিয়েছেন তার যাওয়ার কথা ছিল মিতালী লঞ্চে। হঠাৎ তিনি পরিবারের সদসদ্যের নিয়ে তাসরিফ লঞ্চে চড়েন। সেখানেই প্রাণ হারান তিন সদস্য।
নৌ পুলিশ ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার জানান, দুর্ঘটনার কারণ জানতে নৌ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ফারহান লঞ্চের ৫ স্টাফকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নৌ পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ফারহান চার যাত্রী তোলার জন্য ঘাটে ভিড়ছিল। একই সময় পূবালী এক ও তাসরিফ ৪ লঞ্চ টার্মিনালে নোঙর করা ছিল। ফারহান ৪ দুই লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। ওই সময় তাসরিফ লঞ্চের রশি ছিড়ে যায়। রশি সঙ্গে বাড়ি খেয়ে নদীতে পড়ে যায় যাত্রীরা। পড়ার সময় তারা লঞ্চের কার্নিশে ধাক্কা খেয়ে আহত হয়। এরমধ্যে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। চারজন ঘটনাস্থলে একজন হাসপাতালে নেওয়া পর মারা যায়। দুর্ঘটনার সময় ঘাটে যাত্রীদের তেমন চাপ ছিল না।
তাসরিফ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার থেকে ঘাটে নোঙর করা ছিল তাসরিফ লঞ্চ। ফারহান লঞ্চটি গতিতে চালিয়ে আসে। গতি নিয়ন্ত্রণ না করেই ধাক্কা দিলে পূবালি লঞ্চে থাকা যাত্রীরা পড়ে যায়। আহত-নিহত সবাই পূবালীর যাত্রী। ওই লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা রুটে চলাচল করে। ফারহান লঞ্চটি বরিশাল রুটের। এটি জাতীয় পার্টির এমপি টিপুর মালিকানাধীন।
নিহত ৫ জনের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো তিনজন হলেন- বিল্লাল হোসেন (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) ও তাদের চার বছরের মেয়ে মাইশা। তাদের বাড়ি পিরোজপুরে। বিল্লাল গাজীপুরে একটি পোশাাক কারখানায় চাকরি করতেন। ঢাকা-বরগুনাগামী মিতালী লঞ্চে তারা বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। অন্য দুজনের মধ্যে তরুণের বাড়ি ঠাকুরগাঁও আর রিপনের বাড়ি পঞ্চগড়ে। তারা কী কারণে ওই লঞ্চে গিয়েছিলেন তা জানা যায়নি।
দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায় নৌ সড়ক ও রেল পথ রক্ষা জাতীয় কমিটি
এই দুর্ঘটনায় প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে নৌ,সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। কমিটির সভাপতি আশীষ কুমার দে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এই দুর্ঘটনার দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না ফারহান লঞ্চ। দুর্ঘটনার জন্য ঢাকা নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ গাফিলতি রয়েছে। যাত্রী শূন্য সদর ঘাটে এমন দুর্ঘটনা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ফারহান লঞ্চ যদি তার গতি নিয়ন্ত্রিত রাখতো তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটতো না আর এতগুলো মানুষের প্রাণও যেত না।