প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৪ পিএম
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১১ পিএম
রাজধানীর সদরঘাটে বৃহস্পতিবার লঞ্চের ধাক্কায় পাঁচ যাত্রী নিহত হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের ধাক্কায় পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মো. বেল্লাল (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৩) ও তাদের মেয়ে মাইশা (৩) এবং পটুয়াখালী সদর উপজেলার মো. রিপন হাওলাদার (৩৮)।
তালহা বিন জসিম বলেন, সদরঘাটে দুটি লঞ্চের মাঝে আরেকটি লঞ্চ ঢোকার সময় রশি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক পাঁচজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন নারী ও এক শিশু রয়েছে।
তালহা বিন জসিম বলেন, সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামক দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে এমভি ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢোকানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। তারা লঞ্চে ওঠার সময় দুর্ঘটনায় পড়েন। তাদের উদ্ধার করে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাটের ট্রাফিকের যুগ্ম কমিশনার জয়নাল আবেদীন বলেন, ঢাকা থেকে ভোলাগামী তাশরিফ-৪ লঞ্চটি ঘাটে বাঁধা ছিল। হঠাৎ ফারহান-৬ লঞ্চটি রশি ছিঁড়ে ধাক্কা দিলে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মিটফোর্ড হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পরে পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
তাসরিফ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাসরিফ বুধবার (১০ এপ্রিল) থেকে ঘাটে নোঙর করা ছিল। ফারহান লঞ্চটি দ্রুত গতিতে চালিয়ে আসে। গতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে ধাক্কা দিলে পূবালী লঞ্চে থাকা যাত্রীরা পড়ে যায়। হতাহত যাত্রীরা সবাই পূবালী-১ লঞ্চের যাত্রী ছিল। ওই লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা রুটে চলাচল করে। ফারহান লঞ্চটি বরিশালের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য (এমপি) গোলাম কিবরিয়া টিপুর মালিকানাধীন।