সাইফ বাবলু
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১০ পিএম
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০৭ পিএম
সামাজিকমাধ্যমে আইডি খুলে টার্গেট করেন বিত্তশালী পরিবারের তরুণীদের। প্রবাসী বা ব্যবসায়ীদের স্ত্রী এবং তাদের পরিবারের কলেজপড়ুয়া মেয়েরা থাকে তার বিশেষ নজরে। তাদের কাছে তিনি নিজেকে পরিচয় দেন পুলিশের বড় কর্মকর্তা, প্রকৌশলী বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্তা হিসেবে। সখ্য হলে গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক। এরপর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলো কৌশলে ভিডিও করেন। সেগুলো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে নেন টাকা। তিনি রাহমাতুর রাফসান অর্নব।
পুলিশের ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তার এই সন্তানের ফাঁদে এরইমধ্যে অর্ধশত নারী ও তরুণী ধরা খেয়েছেন। একাধিক মামলায় জেলে গেলেও জামিনে বেরিয়ে এসে নতুন কৌশলে তরুণীদের ফাঁদে ফেলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, অর্নবের বাবা পুলিশের ইন্সপেক্টর হিসেবে চাকরি করছেন। বর্তমানে তার পোস্টিং এন্টি টেরোরিজম ইউনিটে। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানার কর্ণসূতি গ্রামের বাসিন্দা হলেও অর্নবের বেড়ে ওঠা দিনাজপুরে।
পুলিশের অতিরিক্ত উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, ওই কর্মকর্তা দিনাজপুরের এসপি হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় অর্নবের বিরুদ্ধে প্রতরণা করে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পান তিনি। একাধিক তরুণীর মামলায় অর্ণবকে গ্রেপ্তারের পর তার অপরাধের নানা কাহিনি বেরিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, বাবা পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় অর্নব ছিলেন বেপরোয়া। তার বাবাও ছেলের এসব অপরাধের কথা জানতেন। আমেরিক প্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে প্রায় কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেন তিনি। ওই তরুণীর কাছে নিজেকে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে তিনি সখ্য গড়ে তোলেন। পরে ওই তরুণী মামলা করলে সেই মামলায় সে বেশ কিছুদিন জেল খাটেন অর্নব। সম্প্রতি জামিনে এসে আবারও একই অপরাধ করে বেড়াচ্ছেন তিনি।
দিনাজপুর সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. নূর আলম বলেন, ওই মামলায় তরুণীর করা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত তরুণের বিরুদ্ধে এমন আরও অভিযোগ রয়েছে এই থানায়।