প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৫৭ পিএম
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১১:২৩ এএম
নিহত মশিউর রহমান এবং তার ছেলে সাহদাব। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানার তালতলা মোল্লাপাড়ার একটি বাড়ি থেকে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া হত্যাচেষ্টার শিকার সাত বছরের মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) ইফতারের আগে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহাদ আলী।
নিহতরা হলেন মশিউর রহমান (৫০) ও তার ছেলে সাহদাব (১৬)।
পুলিশের ধারণা, বেকারত্ব ও হতাশা থেকে ছেলেকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন বাবা মশিউর। মেয়েকে হত্যার চেষ্টা করলেও সে বেঁচে যায়।
মো. আহাদ আলী জানান, তালতলা মোল্লাপাড়ার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দরজা ভেঙে বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় এবং অন্যজনের মেঝে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বেঁচে যাওয়া মেয়েটিকে শ্যামলীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ পুলিশ হেফাজতে আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।’
শেরেবাংলানগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে বলেন, ‘মশিউর রহমান প্রকৌশলী ছিলেন। তিনি একটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। করোনা মহামারির পর থেকে বছর তিনেক তার চাকরি নেই। পরে ব্যবসা করতে গিয়েও লোকসানে পড়েন। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘ওই সময় মশিউরের স্ত্রী ছাত্র পড়াতে বাইরে গিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মশিউর রহমান প্রথমে ছেলে সাহদাব ও মেয়েকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে তিনি রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক ধারণা হতাশা থেকে ছেলে-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মশিউর রহমান। কেন এ ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।’