প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৭ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২০ পিএম
প্রেমিকা রিতার সঙ্গে সাঈদ আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
গাইবান্ধার সাঈদ আহমেদ। পুরান ঢাকার ইসলামপুরে ‘নাশওয়ান ফ্যাশন’ লেডিস কাপড়ের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। বিশ্বস্ততা, অভিজ্ঞতা ও সততা দেখিয়ে ২০২২ সালে এখানে চাকরি নেন তিনি।
এর আগে সাঈদ চাকরি করেছেন রংপুরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে। ঘরে তার দুই স্ত্রী। প্রথমজন বাইতুন্নেছা লতা, দ্বিতীয় জনের নাম বিউটি আক্তার। পরে আরেক নারীর প্রেমে পড়েন সাইদ। তাকে বিয়ে করতেই ৩৩ লাখ টাকা চুরি করেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
প্রেমিকা রিতাসহ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগ। পুলিশ ট্রাংক ও মাটিতে গর্ত করে লুকিয়ে রাখা অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ৩১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা।
সাঈদ ধর্মান্তরিত মুসলমান। তার আগের নাম প্রদীপ কুমার বিশ্বাস।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার রিতার (৩২) গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানা এলাকায়। সাঈদ আহমেদের সঙ্গে তার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক। তিনি নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। সাঈদ ও রিতা যোগসাজশে চুরির পরিকল্পনা করেন এবং চোরাই টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকালে বিয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান। তিনি জানান, ২২ ও ২৩ মার্চ অর্থাৎ শুক্র ও শনিবারে ভালো বেচাবিক্রির ৩৩ লাখ টাকা জমা থাকে নাশওয়ান ফ্যাশন হাউসের লকারে। রবিবার ব্যাংকের প্রথম কার্যদিবসে সাঈদ আরেক কর্মচারীকে নিয়ে কাছাকাছি ঢাকা ব্যাংকে যান টাকা জমা দিতে। পথিমধ্যে কর্মচারীকে দোকানে ফেরত পাঠিয়ে একাই প্রবেশ করেন ব্যাংকে। ব্যাংকের মধ্যে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে ব্যাগভর্তি ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে চলে যান সোজা প্রেমিকার কাছে গাজীপুরে। সেখান থেকে প্রেমিকাকে নিয়ে যান নরসিংদী। নরসিংদী থেকে বগুড়া। বগুড়ায় ব্যাপক কেনাকাটা করে সেখান থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধার তেঁতুলিয়া। আমোদ ফুর্তি করে দুই হাতে খরচ করতে থাকেন টাকা। সেখান থেকে প্রেমিকার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরে।
গ্রেপ্তার সাঈদ জানান, প্রেমিকাকে বিয়ে করে আমোদ ফুর্তি করে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই তিনি টাকাগুলো চুরি করেছেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে এই ভয়ে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা দিয়ে ইন্ডিয়াতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।