প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৫ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৬ পিএম
রাজধানীর বসুন্ধারা শপিং কমপ্লেক্সে ঈদের বাজার পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। প্রবা ফটো
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। সব ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে ডিএমপি পুলিশ সর্বদা তৎপর।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বসুন্ধারা শপিং কমপ্লেক্সে ঈদের বাজার পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে রাজধানী ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী হবে এবং ঈদকে ঘিরে কোনো হুমকি আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সব ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে ডিএমপি পুলিশ সর্বদা তৎপর। ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় এই বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা সাজানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাইরে যাবেন। এ সময়ে ঢাকা শহর ফাঁকা থাকে। তাই আমরা পরামর্শ দিব নগরবাসীর মূল্যবান জিনিসপত্রের বিষয়ে নিজেরা সজাগ থাকবেন এবং সচেতন থাকবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দিনে রাতে ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ছিনতাই রোধে আমাদের টিম কাজ করছে। ডিএমপির ৮ বিভাগে টাস্কফোর্সের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ডিসি ও থানা পুলিশ এক সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টাস্কফোর্স গঠনের পর বর্তমানে ডিএমপিতে ছিনতাইয়ের হার নিম্নমুখী। অর্থাৎ কমতে শুরু করেছে।’
ঈদের কেনাকাটার কারণে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরবাসী বাইরে থাকছেন। ফলে সড়কে গাড়ির চাপ থাকে। কিন্তু রাতে ট্রাফিক সদস্যরা না থাকার কারণে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি আমরা রমজানে শুরুতে নেইনি। এখন দেখছি যে মানুষ রাতে মার্কেট করছে। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ কেনাকাটা করায় দোকান ও মার্কেট খোলা থাকছে। আমরা এখন থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।’
ঈদের ছুটিতে ফিটনেসবিহীন বাস ও সিটিতে চলাচল করা বাস দূরের যাত্রী পরিবহন করছে। যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদে আইনশৃ্ঙ্খলা যে কমিটি রয়েছে সেখানে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে সেখানেও আলোচনা করা হয়েছে। এ সভায় মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের নিষেধ করা হয়েছে, কোনো অবস্থায় ফিটনেসবিহীন কোনো বাস যেনো যাত্রী পরিবহনের চেষ্টা না করে। পুলিশকেও এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
পুলিশ সদস্যদের ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে যেতে নিষেধ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। তবে সাধারণ মানুষের বিষয়ে ডিএমপি কী ব্যবস্থা নিচ্ছে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা যদি ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান দেখি তাহলে দেখব দুর্ঘটনার বড় একটি অংশ মোটরসাইকেলে। সেই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে আমাদের কী করতে হবে। তাই আমাদের পুলিশ সদস্যরা যারা দূরের পথে যাবেন তাদের আমরা নিষেধ করছি যেনো কোনো অবস্থায় তারা মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে না যান। আর রাজধানীবাসীর অনেকেই মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়িতে যান। তাদের হয় তো নিজস্ব যুক্তি রয়েছে। কিন্তু ঈদের সময় সড়কে গাড়ির অনেক চাপ থাকে। ফলে আমি মনে করি এ সময়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থাকে। নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ছোট যানবাহন এড়িয়ে বড় বাহনে যাতায়াত করা উচিত।’