প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৮ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২১ পিএম
র্যাব হেফাজতে গ্রেপ্তার চোরাকারবারি চক্রের ২০ সদস্য। প্রবা ফটো
রাজধানী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে মোবাইল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় অবৈধ মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের মূলহোতাসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্মার্টফোনসহ প্রায় ৯০০টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি ও বিদেশি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- হাফিজুর রহমান, রনি আহমেদ ইমন, জসিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, আবুল মাতুব্বর, আহম্মদ আলী, কামাল, বাপ্পি, আবিদ হোসেন সনু, রবিন ভূইয়া, আরিফুল হোসেন, ইব্রাহিম মিয়া, সুজন, দেলোয়ার, আব্দুর রহমান, রাজু, জিহাদ হোসেন, মুনাইম, রাজু ও রফিক। সোমবার রাতে রাজধানীর গুলিস্তান, শনির আখড়া, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মোবাইল চোরাকারবারি চক্রের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা শিকার করেন।
গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে ৫৪২টি স্মার্ট মোবাইল ফোন, ৩৪১টি বাটন মোবাইল ফোন, বিপুল পরিমাণ ভুয়া আইএমইআই স্টিকার, ১টি হিটগান, ইলেকট্রনিক সেন্সর ডিভাইস, আইএমইআই পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন টুলস, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ৬টি চাকু, ১টি ল্যাপটপ, ১টি এলসিডি মনিটর ও ১১ হাজার ৬০০টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করতে পারে গ্রেপ্তার চক্রটি। এসব মোবাইল ফোন স্বল্পদামে ফের মার্কেট বিক্রি করে। স্বল্প দামে বিক্রি হওয়ায় এ ফোনের চাহিদাও বেশি। এ পর্যন্ত ২০ হাজারের অধিক আইএমইআই পরিবর্তন করেছে চক্রটি। ৫০০ থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে মোবাইলগুলো বিক্রি করত তারা।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তারা মূলত ৪টি চক্রে বিভক্ত হয়ে দীর্ঘ ৫-৬ বছর যাবৎ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে এ সব মোবাইল চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। চক্রটি চোরাইকৃত মোবাইল ফোনগুলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন গ্রপে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। এ ছাড়াও তারা অন্যান্য ছিনতাইকারির নিকট থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে থাকে। গ্রেপ্তার দেলোয়ার এবং আবুল মাতুব্বর মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর। তারা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলোর আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার দেলোয়ারের বিরুদ্ধে রাজধানীর বংশাল, শাহবাগ এবং কুমিল্লার দেবীদ্বার থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দেলোয়ারের সহযোগী রাজু এবং জিহাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও গ্রেপ্তার অপর মূলহোতা আরিফুলের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে মোনায়েম, রফিক ও আরিফুল ইতঃপূর্বে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারা ভোগ করে পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও পূর্বের পেশায় লিপ্ত হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।