প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ১২:৫৩ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৩:৪৮ পিএম
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
ময়মনসিংহ-১১ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদের পদত্যাগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এমপি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আফ্রিকান দেশ পাপুয়া নিউগিনির নাগরিক হয়েও নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা হলফনামা দিয়েছেন। তার দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের তথ্য গোপন করেছেন। এই অপরাধের কারণে তাকে জাতীয় সংসদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
বুধবার (২০ মার্চ) ওই মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সুফি সাগর সামস।
তিনি বলেন, আব্দুল ওয়াহেদ পাপুয়ানিউগিনির নাগরিক এই তথ্য গোপন করে ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়া যাকার্তা থেকে একটি পাসপোর্ট নেন। সেখানেও তথ্য গোপন করেন দেশের সংবিধানের লঙ্ঘন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে উপকর কমিশনার কার্যালয়, সার্কেল-২, ময়মনসিংহ জেলা শাখায় ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৯৪৬ টাকা কর দিয়েছেন। এমতাবস্থায় তার মালিকানায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ২ নম্বর রোডে আলিফ টাওয়ার নামে একটি বাড়ি, ৯ নম্বর হোল্ডিংয়ে ১০ কাঠা জমির ওপর বহুতল ভবনসহ আরও ৩টি বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া ভালুকা বাজারে ২৯ শতাংশ ভূমির ওপর ১৪ তলাবিশিষ্ট বিশাল মার্কেট রয়েছে। ভালুকার আঙ্গারগাড়া গ্রামে ৩ বিঘা জমির ওপর দ্বিতল বিশিষ্ট সুইমিংপুলসহ ১টি বাড়ি, ৫ বিঘা জমির ওপর তিন তলাবিশিষ্ট বাড়ি এবং আঙ্গারগাড়া বাজারে ২টি ৫ তলাবিশিষ্ট এবং একটি তিন তলাবিশিষ্ট বাড়ি রয়েছে। ময়মনসিংহ শহরে কৃষ্টপুর এলাকায় ৫ তলা ভবনসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ওয়াহেদের স্বনির্ধারিত উক্ত সম্পত্তির মূল্য প্রায় হাজার কোটি টাকা। তিনি তার সম্পদের মূল্য নির্ধারণে সত্য তথ্য গোপন করে সরকারি কর ফাঁকি দিয়েছেন। এ ধরনের একজন আত্মপ্রবঞ্চক ব্যক্তি জাতীয় সংসদের সদস্য থাকতে পারেন না। তার বিষয়ে দুদকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি পাপুয়া নিউগিনির নাগরিকত্ব আত্মসমর্পণ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি। আমার বিষয়ে তদন্ত হয়েছে আদালতে শুনানি হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সুফি সাগর সামস কি সুপ্রিমকোর্টেরও ঊর্ধ্বে? এ বিষয়ে তার ইন্টারেস্ট কেন? আমার বুঝে আসে না।’
সম্পদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দেশ থেকে কোনো টাকা পাচার করেছি কি না সেই তথ্য থাকলে দিতে বলেন। আমি পর পর তিনবার সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। আমার কোনো অবৈধ সম্পদ থাকলে দুদক খুঁজে বের করুক।’