প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ২২:০১ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ২২:২৫ পিএম
ছিনতাই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রবা ফটো
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ঢাকায় আসা যাত্রীদের টার্গেট করে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করে আসছিল একটি চক্র। চক্রটি রিকশাচালকের ছদ্মবেশে যাত্রী তুলে পূর্বনির্ধারিত স্থানে নিয়ে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাই করত। সম্প্রতি রিকশায় করে কমলাপুর থেকে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় যাওয়ার পথে এক ব্যবসায়ীর ছেলে এই চক্রের কবলে পড়ে এক লাখ টাকা খোয়ায়। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার এক মামলা তদন্তে নেমে রিকশাচালকের ছদ্মবেশ ধরে চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার দেহাটি এলাকার ব্যবসায়ী সামাদ আলী বিশ্বাস। ঢাকা থেকে কাপড় কিনে নিজ এলাকায় বিক্রি করেন। ঈদ সামনে রেখে সামাদ আলী তার ছেলে সাইদুর রহমানকে নিয়ে ৫ মার্চ ঢাকায় আসেন। তারা চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রেনে করে ঢাকার কমলাপুরে আসেন। এরপর বঙ্গবাজার যাওয়ার জন্য একটি রিকশা নেন। রিকশাচালক বঙ্গবাজার না গিয়ে পথ বদলে শাহজাহানপুর চলে আসে। এ সময় তিন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। রিকশা থেকে নামিয়ে পিতাপুত্রকে তল্লাশি চালিয়ে সামাদ আলীর পকেট থেকে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারা যাওয়ার সময় কোনো শব্দ করলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে শাহজাহানপুর থানায় বাদী হয়ে একটি ছিনতাই মামলা করেন ব্যবসায়ী সামাদ।
‘তদন্তে নেমে পুলিশ শাহজাহানপুর, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার ৩৫০টির বেশি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছিনতাই চক্রটিকে শনাক্ত করে। ফুটেজে দেখা যায়, ৬টা ৫০ মিনিটে ভুক্তভোগী সামাদ ও তার ছেলের রিকশার গতিরোধ করছে তিনজন। এরপর পুলিশ রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই চক্রের দুই রিকশাচালক বড় জাকির ও ছোট জাকিরকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের হোতা দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
ডিসি হায়াত আরও বলেন, ‘চক্রটি রাজধানী বিভিন্ন বাস-ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে রিকশাচালকের ছদ্মবেশে কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে ওত পেতে থাকত। এরপর রিকশায় যাত্রী তুলে গন্তব্যে না নিয়ে পূর্বনির্ধারিত স্থানে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সর্বস্ব লুটে নিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেলোয়ারের নামে চারটি মামলা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সাতবার গ্রেপ্তার হয়েছে।’ তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৪০ হাজার টাকা ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি রিকশা উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ডিসি হায়াত বলেন, ‘চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।’