প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪ ১৩:০৩ পিএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫০ পিএম
রবিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে পবিত্র রমজান উপলক্ষে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী। ছবি : আরিফুল আমিন
পবিত্র রমজান উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ বাজারে সুলভমূল্যে ডিম, দুধ ও মাংস বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৮ রমজান পর্যন্ত কার্যক্রমটি চলবে।
রবিবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সামনে কার্যক্রমটি উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়টির সচিব সেলিম উদ্দিন। বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুর রহিম, গোলাম রব্বানী, পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মশিউর রহমান প্রমুখ।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে দেশে কেউ ভাত ও মাছে কষ্ট পাবে, এটি মেনে নেওয়া যায় না। রমজান উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে ডিম, দুধ, গরুর ও মুরগির মাংস কিনতে পারবে রাজধানীবাসী। এতে তাদের আর্থিক ব্যয় কম হবে। রাজনৈতিক অঙ্গীকার না থাকলে কোনো জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে জাতিকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।’
মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, ‘এসব দুধ, ডিম ও মাংস খামারিদের থেকে কেনা হয়েছে। তাই অন্যান্য খামারিরা ইচ্ছা করলে কম দামে বিক্রি করতে পারে। তাতে দামও কিছুটা কম থাকবে।’
প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘রাজধানীর ২৫টি স্থানে ডিম, দুধ ও মাংস বিক্রি করা হবে। তাছাড়া ৫টি মার্কেটে বিক্রি করা হবে। প্রতি লিটার দুধ ৮০ টাকা, গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা কেজি ও প্রতি ডজন ১১০ টাকা। তাছাড়া ৫টি দোকানে ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হবে।’
রাজধানীর যেসব স্থানে বিক্রি করা হবে
বাড্ডার নতুনবাজার, বনানীর কড়াইল বস্তি, ফার্মগেটের খামারবাড়ি, আজিমপুর মাতৃসদন, গাবতলী, উত্তরার দিয়াবাড়ী, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুরের ষাটফুট রোড, খিলগাঁও রেল ক্রসিংয়ের দক্ষিণে, সচিবালয়ের আব্দুল গনি রোড, সেগুন বাগিচা, মতিঝিলের আরামবাগ, রামপুরা, মিরপুরের কালসী, যাত্রাবাড়ীর মানিকনগর, মোহাম্মদপুরের বসিলা, হাজারীবাগের শিকশন, নাখালপাড়ার লোকাস মোড়, কামরাঙ্গিচর, মিরপুর ১০, কল্যাণপুর ঝিলপাড়া, তেজগাঁও, পুরান ঢাকার বঙ্গবাজার, কাকরাইল। তা ছাড়া স্থায়ী বাজারের মধ্যে রয়েছে মিরপুর শাহ আলি বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নতুন বাজার (১০০ ফুট), কমলাপুর ও কাজী আলাউদ্দিন রোডের আনন্দবাজার।