প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪ ২১:১৫ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪ ২১:৪২ পিএম
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ফাইল ফটো
জনপ্রতিনিধিদের আদর্শ বিক্রি না করার আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘৯ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন। শুনেছি এটা নিয়ে টাকা-পয়সার লীলা খেলা হচ্ছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমার এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যানরা এমন না। তারা বিক্রি হবেন না।’
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার কারণে আপনারা শান্তিতে আছেন, আপনারা শান্তি দেখতে পেয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার শিখিয়েছেন। তা নাহলে এই দেশের মানুষ অধিকার সম্পর্কে জানত না। বঙ্গবন্ধু সব সময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলন করতেন। কখনও নিয়মের বাইরে রাজনীতি করতেন না। তিনি সহিংসতার রাজনীতি করতেন না, মানুষ হত্যায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি বিশ্বাসী ছিলেন গণতন্ত্রের।’
‘সেই গণতন্ত্রের জন্য ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সারা বিশ্ব যখন এই ভাষণ শুনেছে, তখন তারা বুঝতে পেরেছে এই ভাষণ হবে একটি ঐতিহাসিক ভাষণ। এই ভাষণ শুনে আমাদের চোখে পানি এসেছিল। এ ভাষণে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে যাওয়ার উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম,’ যোগ করেন আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করা হয়। সেদিন খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা আসলে বাংলাদেশকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। তারা বাংলাদেশের ওপর আবার পাকিস্তানি কায়দায় হত্যাযজ্ঞ চালায়। জিয়া এই দেশে রাজাকার ও আলবদর দিয়ে সরকার গঠন করেছিল। আজ তারা বড় বড় কথা বলে; তারা নাকি গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, তারা সব সময় হত্যাতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেনসহ অনেকে।