প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪ ০০:৫৯ এএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪ ১০:৫৬ এএম
রাজধানী ফার্মগেটের সেজান পয়েন্ট মার্কেটের দুটি স্বর্ণের দোকানের তালা ভেঙে লুট করার সিসিটিভি ফুটেজ। প্রবা ফটো
রাজধানীর ফার্মগেটের সেজান পয়েন্ট মার্কেটের দুটি স্বর্ণের দোকানের তালা ভেঙে ২০০ ভরি স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৬ মার্চ) রাতের এ ঘটনায় সরণী জুয়েলার্সের মালিক সরজিত বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। আগের দিন মঙ্গলবার রাতে মার্কেটের চতুর্থ তলার সরণী জুয়েলার্স ও এলভি জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে। তবে চোরের দল শনাক্ত এবং চুরি হওয়া স্বর্ণালংকারের হদিস পায়নি পুলিশ।
শেরেবাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আহাদ বলেন, বুধবার রাতে সরণী জুয়েলার্সের মালিক সরজিদ মামলা করেছেন। মামলায় তার দোকান থেকে ১৫০ ভরি এবং এলভি জুয়েলার্স থেকে ৫০ ভরি স্বর্ণ চুরি হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশ বুধবার রাত পর্যন্ত চুরির ঘটনায় কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার রুবাইয়াত জামান বলেন, মার্কেটের সামনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) থাকলেও পেছনে ছিল না। ফুটেজে মার্কেটের বারান্দায় অন্ধকারে দুজনকে হাঁটতে দেখা গেছে। আরেক ফুটেজে এক চোরকে হেলমেট পরা অবস্থায় দেখা গেছে। তাই চোর চেনা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘দুই দিন আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে সেজান পয়েন্টের মার্কেটের পেছনে ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা মার্কেটের পেছনে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা বসাননি। মার্কেটের পেছনে ক্যামেরা থাকলে চোর শনাক্ত করা সহজ হতো। মার্কেটের সামনের দিকে নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও পেছনে ছিলেন না। এ ছাড়া ছয় তলা মার্কেটের প্রতিটি তলায় নিরাপত্তাকর্মীর পাহারা থাকলে চুরি হতো না।’
দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা মার্কেটের পেছনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এর আগেই চুরি হয়ে গেল।
ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনাস্থলের একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানে চোরের দলকে দেয়াল টপকে মার্কেটের মধ্যে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। ফুটেজ পর্যালোচনা করে চোরের দল শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের কেউ জড়িত কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’