আটাব নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জয়ী আরেফ-আফসিয়ার গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর দ্বিবার্ষিক (২০২৩-২৫) নির্বাচনে সারা দেশে পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করেছে আবদুস সালাম আরেফ ও আফসিয়া জান্নাত সালেহর নেতৃত্বাধীন আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনে তিনটি প্যানেল অংশ নেয়। ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করেন আটাব নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা।

সর্বোচ্চ ৮৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আফসিয়া জান্নাত সালেহ। তিনি ঢাকা থেকে ৬২৪, চট্টগ্রাম থেকে ১২৫ ও সিলেট থেকে পান ৮৫ ভোট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮১৪ ভোট পান আবদুস সালাম আরেফ। তিনি ঢাকা থেকে ৬০৬, চট্টগ্রাম থেকে ১২৪ ও সিলেট থেকে পান ৮৪ ভোট পান।

টিকিট সিন্ডিকেট করে মুল্যবৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট বন্ধ, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ ও অনুমোদনহীন অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধসহ দেশি পর্যটন শিল্পের বিকাশে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে আটাব নির্বাচনে অংশ নেয় আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।

‘গড়ি তারুণ্যদীপ্ত অভিজ্ঞ সদস্যবান্ধব স্মার্ট আটাব’ স্লোগান নিয়ে আবদুস সালাম আরেফ-আফসিয়া  জান্নাত সালেহর গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট থেকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে ঢাকার হয়ে নির্বাচনে জয়ী হন  মোস্তাফিজুর রহমান হিরু, লায়ন মো. শফিক উল্লাহ উল্লাহ নান্টু, দিদারুল হক, মো. মনসুর আলম পারভেজ, সবুজ মুন্সি, আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ তোয়াহা চৌধুরী, মো. শাহীন উজ জামান, মো.  ফজলুল হক, আবুল কালাম আজাদ, কালাম সিকদার, মো. ইফতাখার আলম ভূঁইয়া, এস এম বিল্লাল হোসেন সুমন, এ টি এম খোরশেদ আলম ও এ এম এম কামাল উদ্দিন।

চট্টগ্রাম থেকে মোহাম্মদ আবু জাফর, এইচ এম মুজিবুল হক সাকুর, মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, মোহাম্মদ ওসমান গণি, সৈয়দ মাসুদ হোসেন এবং সিলেট থেকে মো. জিয়াউর রহমান খান রেজওয়ান, আবদুল হক, নজির আহমেদ আজাদ, মিসির আলী, রুশু চৌধুরী, মো. মোজাম্মেল হোসেন রুবেল, মো. আবদুল কাদির ও মো. হারুনুর রশীদ।

আটাব গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্যানেল লিডার আবদুস সালাম আরেফ বলেন, ‘যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সদস্যদের স্বার্থ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট আটাব গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।’

আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, ‘এ বিজয় আটাব সদস্যদের। এ বিজয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের। মন্ত্রণালয়, ট্যুরিজম বোর্ডসহ সব সরকারি দপ্তরের সঙ্গে সুসম্পর্কের মাধ্যমে সদস্যদের স্বার্থসংরক্ষণে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও কাজ করে যেতে চাই।’