প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪ ২৩:০৬ পিএম
রাজউক ভবনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কথা বলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা। প্রবা ফটো
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা জানিয়েছেন, আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে সব সংস্থার সমন্বয়ে ঢাকার অগ্নিঝুকিপূর্ণ ভবনের তালিকা তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর পরবর্তী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজউক ভবনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজউকের সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন), প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ হেলালী, পরিচালক উন্নয়ন নিয়ন্ত্রক-১ মোহাম্মদ সামছুল হক, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মতিন আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খান, সহসভাপতি রাশেদ আহমেদ যুগ্ম সম্পাদক হাসান প্রমুখ।
দেশে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন এবং জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালার মধ্যে বহুতল ভবন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বহুতল ভবনের উচ্চতা নির্ধারণে আইন ও বিধিমালার মধ্যে সমন্বয় করা হবে।
আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, কর্মকর্তাদের দায় থাকলে রাজউক তাদেরকে ছাড় দেয় না। বেইলি রোডের ঘটনায় রাজউকের কোনো কর্মকর্তার দায় থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে রাজউকের কমিটি কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, নানা অভিযোগ ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান আছে। এরইমধ্যে ৪ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, রাজধানীর শপিংমলগুলোতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের রাজউক সতর্ক করছে। এ কার্যক্রমে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের সহযোগিতা করছে।
পুরান ঢাকাকে নতুন করে সাজাতে কাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসকল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত হবে, সে সকল ভবনের প্রবেশমুখে ঝুঁকিপূর্ণ বলে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হবে। নোটিসে উল্লেখ থাকবে এই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। যাতে কেউ এখানে প্রবেশ করবেন না। সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।