১২ রেস্তোরাঁ সিলগালা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪০ পিএম
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪ ১৮:২৯ পিএম
নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভাড়া দেওয়া রেস্তোরাঁ সিলগালা। সোমবার ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইন পিক ভবনে রাজউকের অভিযান। ছবি : আলী হোসেন মিন্টু
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আলোচনায় আসা ধানমন্ডির গাউসিয়া টুইন পিক ভবনে অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন করপোরেশন (রাজউক)। সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভবনটির ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করেছেন। ভবনের ছাদে থাকা দুটি স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে গাউসিয়া টুইন পিক ভবনে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার। দুপুরের পর অভিযান শেষে তিনি বলেন, ‘এই ভবনটি অনুমোদন পেয়েছে অফিস হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। আমরা দেখলাম– দুটি ফ্লোরের কিছু অংশে অফিস রয়েছে, বাকিগুলোতে ১২-১৫টি রেস্তোরাঁ। এ ছাড়া কিছু অংশে ওষুধ ও কাপড়ের দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছে ৪৬ জন। পরদিন শুক্রবার এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের ডিজাইনার প্রখ্যাত স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন– ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে ফেয়ার ফেস কংক্রিট ও গ্লাসে আবৃত বহুতল গাউসিয়া টুইন পিক ভবনটি নিয়ে তিনি উৎকণ্ঠায় থাকেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘দয়া করে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এই ভবন ব্যবহার করবেন না। প্রতিনিয়ত এই ভবনটি নিয়ে সত্যি উৎকণ্ঠায় থাকি। নকশা ও অনুমোদন বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে হলেও এর ব্যবহারে বড় রকমের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সার্বিকভাবে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ রেস্তোরাঁ ভবনে রূপান্তর করা হয়েছে। স্থপতি হিসেবে শেষ যে ক্ষমতাটুকু রাজউক দিয়েছে অকুপেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য। সেই রিপোর্ট স্বাক্ষর করার তোয়াক্কাও এখানে করা হয়নি। অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই চলছে দেদার ব্যবসা।’
রাজউক জানায়, গাউসিয়া টুইন পিক ভবনটি মূলত এফ ওয়ান ক্যাটাগরির। এটি অফিসের জন্য রাজউক থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁ করতে হলে বাণিজ্যিক ক্যাটাগরি এফ-২ অনুমোদন থাকতে হবে। সেটি এই ভবনের নেই। নকশা অনুযায়ী ছাদের অংশে কোনো স্থাপনা থাকার কথা ছিল না। সেটিও মানা হয়নি।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার বলেন, ‘নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এখানে রেস্তোরাঁ, ওষুদ ও কাপড়ের দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভাড়া দেওয়ার কারণে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। আমরা শুধু রেস্তোরাঁগুলো সিলগালা করে দিচ্ছি।’