× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইমারত নির্মাণ

নিয়ম মানে না কেউ

ফয়সাল খান

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৪ ০৮:৫২ এএম

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪ ১০:৪৪ এএম

বহুতলা ভবনের পুরোটা জুড়ে নানান নামের রেস্টুরেন্ট। রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। ছবি : আরিফুল আমিন

বহুতলা ভবনের পুরোটা জুড়ে নানান নামের রেস্টুরেন্ট। রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। ছবি : আরিফুল আমিন

রাজধানীতে ভবন নির্মাণ, অনুমোদন ও ব্যবহারের নিয়ম মানছেন না কেউ। নকশা অনুমোদন থেকে শুরু করে ব্যবহার পর্যন্ত ধাপে ধাপে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করছেন সবাই। একদিকে ভবন মালিক নিয়ম ভঙ্গ করছেন; অন্যদিকে অভিযোগ উঠছে, সরকারি তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উৎকোচের বিনিময়ে এসব অনিয়মকে বৈধতা দিচ্ছেন। এতে দিনদিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে রাজধানী ঢাকা। জীবন দিয়ে এসব দুর্নীতি-অনিয়মের মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তদারকি জোরদার না হলে নিরাপদ নগরী গড়া সম্ভব নয়। কর্মকর্তাদের যেমন সৎ হতে হবে, ঠিক তেমনি তাদের সঠিক পথে রাখার জন্যও কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন। তা না হলে নকশার সঙ্গে নির্মিত ভবনের কোনো মিল পাওয়া যাবে না। আবার মিল না পাওয়ার পরও সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। এসব কারণে নগর-মহানগরে প্রায়ই শত শত মানুষের জীবন ঝরে পড়ছে। সর্বশেষ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে এমন অনিয়মের বলি হয়েছে ৪৬টি তাজা প্রাণ। এই মর্মস্পর্শী ঘটনার পর আলোচনায় উঠে এসেছে ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার দিক। একইভাবে সিদ্দিকবাজার ভবন ধসের পরও ওই ভবনের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি বেরিয়ে এসেছিল। দুর্ঘটনা ঘটার আগে এসব ত্রুটি সারাতে কর্তৃপক্ষ কতটুকু সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে, তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ২০১১ সালে গ্রিন কোজি কটেজ নির্মাণে নকশা অনুমোদন করে। একটি বেজমেন্টসহ আটতলা আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় ওই সময়। সূত্র জানাচ্ছে, হামিদা খাতুনের জমিতে এই ভবন ডেভেলপমেন্টের কাজ করে আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। 

রাজউক কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের নিচতলা থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত অফিস হিসেবে এবং ওপরের দুই তলা আবাসিক হিসেবে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু নির্মাণের পর ভবন বা স্পেসের মালিকরা অনুমোদনের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন। অফিস ও আবাসিকের পরিবর্তে ওই ভবনে তারা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অগ্নিনির্বাপণের শর্তও মানেননি তারা। এসব ত্রুটির জন্য ওই ভবনমালিককে নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি ২০১৯ সালে একবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজউক। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে তিনবার নোটিস দেওয়ার কথা। 

তিন লক্ষাধিক ভবন অনুমোদনহীনভাবে গড়ে উঠেছে 

রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা, গাজীপুরের কিছু অংশ, সাভার ও নারায়ণঞ্জে ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়ে থাকে এ সংস্থাটি। এসব এলাকায় পাঁচ লক্ষাধিক ভবন রয়েছে। এর মধ্যে অনুমোদন রয়েছে দুই লাখ ভবনের। তিন লক্ষাধিক ভবন রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছে। অনুমোদিত ভবনগুলোর মধ্যে ৯০ ভাগ ভবন নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি। অর্থাৎ এক ধরনের নকশার অনুমোদন নিয়ে নিজেদের সুবিধামতো কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। 

কর্মকর্তারা বলছেন, রাজউক অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে ইমারত পরিদর্শন করে থাকে। ভবনে কোনো ত্রুটি চোখে পড়লে নোটিস দিয়ে থাকে। বছরে গড়ে প্রায় পাঁচ হাজার নোটিস ইস্যু করে সংস্থাটি। ভবনের সমস্যার সমাধান না হলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত বছর ১ হাজার ৮৯০টি ভবনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে রাজউক। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজউকের নোটিস ও অভিযান এখন লোক দেখানো হয়ে গেছে। টাকা না দিলে নকশা অনুমোদন হয় না। আর টাকা দিলে যেভাবে ইচ্ছা ভবন তৈরি করা যায়। গ্রিন কোজি কটেজ অগ্নিকাণ্ডে পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলা করেছে সেখানেও রাজউকের পরিদর্শকদের টাকা দিয়ে আবাসিক ভবনে রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য 

যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা ও সাধারণ নাগরিক সমাজের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া এলাকায় রাজউকের ইমারত পরিদর্শনকে ইমারত-বাণিজ্যে পরিণত করা হয়েছে। পরিদর্শক নোটিস দিয়ে আসে, নামমাত্র কিছু উচ্ছেদ অভিযানও হয়। কিন্তু কিছুদিন পর সবকিছু আগের অবস্থাতেই ফিরে যায়।’ 

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমোদিত নকশা মানা হচ্ছে না। এটা দেখভালের দায়িত্ব রাজউকের ভবন পরিদর্শকদের। তাদের দায়িত্ব হলো, সরেজমিনে পরিদর্শন করে নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ বাস্তবায়ন কাজ নিশ্চিত করা। কিন্তু তারা সেটা করছেন না। অনেক ক্ষেত্রে ভবন মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে তারা নকশার বিচ্যুতি ঘটিয়ে ভবন নির্মাণকাজকে সহযোগিতা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কাজে মনোযোগ দেয় না। তারা হাউজিং ও অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগী। তারা ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে। খাল ও লেক নির্মাণ করছে। অথচ তাদের মূল কাজ সঠিক নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন করা, সে অনুযায়ী উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু রাজউকের নিয়ন্ত্রণকদের সেসব কাজে মনোযোগী হতে দেখা যায় না।’

রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এবং মুখপাত্র আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘রাজউকের পক্ষ থেকে ভবন পরিদর্শন করা হয়। কোনো ত্রুটি পেলে তাদের নোটিস করা হয়। এরপর উচ্ছেদে যাই আমরা।’ তিনি বলেন, ‘বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনেও নোটিস দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এ ভবনে অভিযান চালিয়ে একটি অংশ ভেঙে দেওয়া হয়।’ 

স্থপতিও ক্ষুব্ধ

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ অগ্নিকাণ্ডের পরপরই নিজের ডিজাইন করা ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে দৃষ্টিনন্দন ও অভিজাত স্থাপনা গাউসিয়া টুইন পিক ভবনে যেতে নিষেধ করেছেন স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ। তিনি বলেছেন, ‘ভবন মালিক ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক স্বার্থে অগ্নিনিরাপত্তার কথা চিন্তা না করেই ভবনটির ফায়ার ডোর খুলে ফেলেছে, ফায়ার স্টেয়ারকে স্টোররুম করা হয়েছে এবং যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছে।’

পলাশ বলেন, ‘অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই চলছে দেদার ব্যবসা। যেহেতু ভবনটিতে নির্দিষ্ট ব্যবহারের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যবহার শুরু করে দেওয়া হয়েছে, তাই স্থপতি হিসেবে রিপোর্ট ও এজবিল্ট ড্রইং প্রদান থেকে বিরত থেকে জমির মালিক, ডেভেলপারকে বারবার লিখিত বার্তায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ফলপ্রসূ অগ্রগতি হয়নি। অর্থের কাছে আমার আহাজারি বারবারই নিষ্ফল হচ্ছে।’ 

নোটিসকে পাত্তা দেয় না সরকারি প্রতিষ্ঠানও

গত বছর সিদ্দিকবাজার ভবন ধসের সময় আরবান রেজিলিয়ান্স প্রকল্পের (রাজউক অংশ) গবেষণায় ঢাকার ৪২টি সরকারি ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে আরও ১৮৭টি ভবন রেট্রোফিটিং করার সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশের পর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো ভবনেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ভাঙা বা রেট্রোফিটিং তো দূরের কথা, একটি ভবনও খালি করা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার পরও সেসব ভবনে দিব্যি চলছে চিকিৎসা, পড়াশোনা ও ছাত্রদের বসবাস।’ 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ হেলালী গত রবিবার বিকালে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা সব কর্তৃপক্ষকে তিনবার করে চিঠি দিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে কর্ণপাত না করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যেসব ভবন ভাঙার সুপারিশ করা হয়েছে, সবগুলোই সরকারি প্রতিষ্ঠান। তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয় রয়েছে, সেখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। বেসরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবন হলে আমরা উচ্ছেদ করতে পারতাম।’

৭১২ আবেদন ফেরত

ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন ভবনের অগ্নিনিরাপত্তার বিষয় যাচাই করে ছাড়পত্র দিয়ে থাকে। এ জন্য ভবন ও প্রতিষ্ঠানের মালিককে আবেদন করতে হয়। ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় গত বছর ফায়ার সার্ভিস ৭১২টি আবেদন ফেরত দিয়েছে। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ফায়ার সার্ভিস বিদ্যমান বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনের ১ হাজার ৪১২টি আবেদনের মধ্যে ৯৪৭টিকে অনুমোদন দেয়। ৪৬৫টি আবেদন ফেরত দেয়। প্রস্তাবিত ভবনের ১ হাজার ৪২০টি আবেদনের মধ্যে ১ হাজার ১৭৩টি অনুমোদন পায়। ২৪৭টি আবেদন ফেরত দেওয়া হয়। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আবেদনের পর যাচাই-বাছাই করে ভবনগুলো পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনে যেসব ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা পাওয়া যায় সেগুলোকে সনদ দেওয়া হয়েছে। ফেরত দেওয়া হয়েছে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে, এমন ভবনসংশ্লিষ্ট আবেদন।

 অগ্নিঝুঁকিতে ঢাকার ৫৮ মার্কেট

গত বছর এপ্রিল মাসে বঙ্গবাজার ও নিউ মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এক বছর পরও মার্কেটগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়নি। বেশিরভাগ মার্কেটের খোলা জায়গা, সিঁড়ি, লিফটের জায়গা, জানালা বা বাতাস চলাচলের জায়গায় দোকান বসিয়ে অবৈধ বাণিজ্য করে যাচ্ছে একটি চক্র।

আগুন লাগার পর সিটি করপোরেশনসহ সংস্থাগুলো তৎপর হয়ে উঠলেও কিছুদিন পর তা থেমে যায়। গতকাল রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাজধানীর ৫৮টি মার্কেট, সুপার মার্কেট ও শপিং মল অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে। অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানীর সিদ্দিক বাজারের রোজনিল ভিন্তা মার্কেট, সদরঘাটের মায়া কাটারা, একই এলাকার শরিফ মার্কেট, পুরান ঢাকার চকবাজার উর্দু রোডের শহিদুল্লাহ মার্কেট, একই এলাকার শাকিল আনোয়ার টাওয়ার, লালবাগের আলাউদ্দিন মার্কেট, টিকাটুলীর রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট, আনন্দ বাজারে ফুলবাড়িয়ার বরিশাল প্লাজা মার্কেট ও নিউ মার্কেট এলাকার গাউছিয়া মার্কেট।

মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো হচ্ছে- রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট বাজার এলাকার উত্তরা মার্কেট, ডেমরা সারুলিয়ার সালেহা শপিং কমপ্লেক্স ও মনু মিয়া শপিং কমপ্লেক্স, ওয়ারির একে ফেমাস টাওয়ার ও রোজভ্যালি শপিং মল, নিউ মার্কেট এলাকার মেহের প্লাজা, মিরপুর রোডের প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার ও নিউ চিশতিয়া মার্কেট, মিরপুর রোডের নেহার ভবন এবং নিউ এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্স।

এদিকে স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের তালিকায় আছে- খিলগাঁও তালতলা স্কুটি করপোরেশন সুপার মার্কেট তালতলা, জুরাইন এলাকার বুড়িগঙ্গা সেতু মার্কেট, খিলগাঁও সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার মার্কেট, একই এলাকার তিলপাপাড়া মিনার মসজিদ মার্কেট, ডেমরা সারুলিয়ার ইসলাম প্লাজা ও কোনাপাড়ার নিউ মার্কেট, ঢাকা দোহারের এ হাকিম কমপ্লেক্স ও লন্ডন প্লাজা শপিং মল, নবাবগঞ্জের শরীফ কমপ্লেক্স, মিরপুর কাফরুলের বাচ্চু মিয়া কমপ্লেক্স ও ড্রিমওয়্যার, মিরপুর ১ নম্বরের এশিয়া শপিং কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্স ও ফেয়ার প্লাজা, তেঁজগাও শিল্প এলাকার পেপাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড, বেগুনবাড়ির নাসা মেইনল্যান্ড, মাওলানা মুফতি দীন মো. রোডের জাকারিয়া ম্যানশন, লালবাগের হাজী আব্দুল মালেক ম্যানশন এবং মিরপুর রোডের চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা