প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪ ১৫:০২ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪ ১৬:২৭ পিএম
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রবা ফটো
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে আহত ১১ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের কেউ দগ্ধ হয়নি। সবাই বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের পোস্ট অপারেটিভে রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইউনিট প্রধান ডা. প্রদীপ চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের এখানে মোট রোগী এসেছে ১৪ জন। তিন জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। ১১ জন রোগী ভর্তি আছে। এই ১১ জনের মধ্যে দুজন ঢাকা মেডিকেলে ছিল। তাদেরকে পরে এখানে আনা হয়েছে। এসব রোগীর কারও গা পুড়েনি কিন্তু শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। দীর্ঘ সময় বদ্ধ রুমে আটকে থেকে কালো ধোঁয়া তথা কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের আক্রান্ত হয়েছে তারা।
তিনি বলেন, ধারণা করছি, অধিকাংশ যারা মারা গেছে তারাও কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের জন্য বিষাক্ত গ্যাস নেওয়ার জন্য মারা গেছেন। এখানে যারা এসেছিল তাদের মধ্যে একজন খুবই শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিল তাকে আমরা আইসিইউ চিকিৎসা দেই। তারপর কার্বন মনোক্সাইড শরীর থেকে বের করার জন্য যে থেরাপি আছে ওইটা দেওয়া হয়। যাদের যাদের প্রয়োজন ছিল তাদের সবাইকে এই থেরাপি দেওয়া হয়। চিকিৎসা পেয়ে তারা এখন অনেকটা ভালো আছেন।
তারা শঙ্কামুক্ত কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রদীপ চন্দ্র দাস বলেন, শঙ্কা মুক্ত বলা যায় না তবে এই মুহুর্তে তারা যেভাবে এসেছিল তার চেয়ে অনেক উন্নত হচ্ছে। তাদেরকে পোস্ট অপারটিভে নিবিড় অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এগুলো সিভিয়ারি অনুযায়ী কোনো রোগী অল্প পরিমাণে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। কেউ মাঝামাঝি, কেউ সিভিআর হয়েছে। যার অল্প পরিমাণ সে হয়তো কাল পরশু সুস্থ হয়ে যাবে। যার শরীর থেকে যত আগে বিষক্রিয়া বাইর হয়ে যাবে সে তত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আস্তে আস্তে সবার শরীরের অবস্থার উন্নতি হবে। এক্ষেত্রে যে রোগী কম বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়েছে সে দ্রুত সেরে উঠবে। যার অবস্থা বেশি খারাপ তার সেরে উঠতে একটু বেশি সময় লাগবে।