বেইলি রোডে আগুন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫৭ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪ ১৫:২২ পিএম
বাসনা দাসকে শান্তনা দিচ্ছেন স্বজনরা। প্রবা ফটো
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল আর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রাঙ্গণ। আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন বাসনা দাসের মেয়ে ও নাতি-নাতনি।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আহাজারি করে বাসনা দাস বলছিলেন, ‘মেয়ে ফোন করে আমাকে বলেছিল মা আসো, বাঁচাও।’ মেয়ের ফোন পেয়ে তাকে বাঁচাতে মা বাসনা দাস শান্তিবাগ থেকে ছুটে এসেছিলেন রাজধানীর বেইলি রোডে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর সামনে। ততক্ষণে ফোনের ওপাশে লাইনটিও কেটে যায়। ফোন দিলে আর পাওয়া যায়নি।
কাঁদতে কাঁদতে বাসনা দাস বলছিলেন, ‘তারা বাঁচতে চেয়েছিল। বাঁচাতে পারলাম না। নাতনি শাড়ি চেয়েছিল দেওয়া হলো না। নাতিটাকে আর দেখা হবে না। মাইয়ার কণ্ঠ বার বার ভাসে। কইতাছে মা বাঁচাও। আমার চোখের সামনে আগুন জ্বলতেছে কিছু করতে পারলাম না। সবাইরে কইছি আমার মাইয়া ভেতরে, কেউ কিছু করো। আমার সব শেষ হইয়া গেল।’
নিহত পপি দাসের বোন ডলি দাস বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই পপির স্বামী শিপন পোদ্দার বাকরুদ্ধ। ছেলে-মেয়ে স্ত্রীকে হারিয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। প্রতি বছর আমার বোন ছেলে মেয়েদের নিয়ে বই মেলায় যান। আজ যাবে ভেবে রাত হয়ে যাওয়ায় ভাবলো দুই ভাইবোনকে কাচ্চি ভাই থেকে কাচ্চি খাওয়াবে। আর ফিরেই আসল না।’
কান্নারত কণ্ঠে ডলি জানান, ১২ বছর বয়সী আদিতা ও ৮ বছরের ছেলে সানিকে নিয়ে রাতে কাচ্চি ভাইয়ে খেতে যান। আগুন লাগার পর পপি মাকে ফোন করে বলে অনেক ধোয়া, আগুন। কিছু করো। মা ছুটে গেছে কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।