প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪ ১২:৩৯ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৫ পিএম
বেইলি রোডে ৭ তলা ভবনে আগুনের সূত্রপাত নিচতলার একটি কিচেন রুম থেকে। ছবি- সংগৃহীত
বেইলি রোডে ৭ তলা ভবনে আগুনের সূত্রপাত নিচতলার একটি কিচেন রুম থেকে। আগুন লাগার ১৫ মিনিট পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ কনস্টেবল আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। আগুন নেভাতে গিয়ে এ পুলিশ সদস্য অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও আহত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন।
এদিকে আগুনের ঘটনায় আহতদের মধ্যে শিশসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে রাতেই। তাদের একজন হলো শিশু ৩ বছেরর শিশু আয়াত। অন্যজন হলো কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার (ক্যাশ) রকি।
আহতদের মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। কয়কজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডি আই জি রেজাউল হায়দার চৌধুরী চৌধুরী জানান, ডেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় শিশু আয়াত ও কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার রকি রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান। আগুনে তাদের কোন দগ্ধ ছিল না। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় আনা হয়েছিল।
তিনি আরো জানান আগুনের পরপরই নিজের বাগ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয় পুলিশ অথবা সাধারণ মানুষ যেই হোক তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।
প্রত্যক্ষদর্শী কনস্টেবল আজাদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, তিনি ১৩ এপিবিএন এর এয়ারপোর্টে ডিউটি করেন। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স মিডিয়া শাখায় সংযুক্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার ডিউটি শেষ করে তিনি যখন ফিরছিলেন তখন কাচ্চি বাই রেস্টুরেন্টের নিচতলায় কিচেনে আগুন লাগতে দেখেন। তিনি এবং একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট প্রথমে ফায়ার ইস টুংগার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু গ্যাসের আগুন হাওয়ায় তা নিচ্ছিল না। ওরা আরো মিনিট তারা চেষ্টা করেও আগুন নিভাতে পারেননি। ১৫ মিনিট পর হঠাৎ করে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। সাথে সাথে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
আজাদ বলেন ভবনের একটি সিড়ি।সিঁড়ির গোড়ায় অসংখ্য গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। আগুন লাগার পর মানুষ ওই ওই সিড়ি ব্যবহার পারেননি। বের হওয়ারও কোনো রাস্তা ছিল না। যার ফলে এত লোকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে আগুন নির্বাপনে সহযোগিতা করার সময় রাত ১২ টায় একটি কাচের বড় টুকরো উপর থেকে তার মাথার উপর পড়ে। মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি প্রাণে রক্ষা পেল কাছে তার পায়ের গোড়ালি কেটে যায়। তখন তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে রাজার বাগ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আহতদের মধ্যে সুমাইয়া (৩০)হাসান(৩৪), ফারদিন(২৪), কে ডিএমসি রেফার করা হয়েছে।
সঞ্জয় (২৭) পাঠাও চালজ ফরিদুল ইসলাম, আতিকুর রহমান (৩৬) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
এছারা ফায়ার সাভিসের রাকিব সরকার (২৩)ডিএমপির কনষ্টেবল নাইম হোসেন (২৬) আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।