× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বেইলি রোডে আগুন

মেয়ে ফোনে বলেছিল ‘আব্বু অনেক ধোঁয়া, তাড়াতাড়ি আইয়ো’

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৪ ০৮:০৬ এএম

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৪ ১২:১৭ পিএম

ডান দিক থেকে তিন বোন রিয়া, লিমু, আলিসা

ডান দিক থেকে তিন বোন রিয়া, লিমু, আলিসা

ঢাকা মেডিকেলের মেঝেতে বসে মেয়ে লিমুকে ফোন করে যাচ্ছেন বাবা আবদুল কুদ্দুস। ওপাশ থেকে বলছে সংযোগ দেওয়া সম্ভব না। পাশেই বসে রাশেদা বেগম খুঁজছেন তার মেয়ে রিয়াকে। আর একদিন পরই মালয়েশিয়া ফিরে যাওয়ার কথা ছিল রিয়ার। খালাতো দুই বোন লিমু ও আলিসাকে নিয়ে ‘কাচ্চি ভাই’য়ে খেতে গিয়েছিলেন রিয়া। সেখানেই লাশ হয়ে ফেরেন তিন বোন।

দুই মেয়েকে হারিয়ে শোকার্ত আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমাকে ফোন দিয়ে বলে আব্বু অনেক ধোঁয়া। আগুন লাগছে। ফোন কেটে যায়। এর পরে আর রিং যায় না।’

তিনি বারবার ফোন হাতে নিয়ে মেয়ে লিমুর সেই নম্বরে ফোন দিয়ে বলতে থাকেন, ‘ফোন যায় তো, মা কথা বল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ফোন দিয়ে বলে ‘আব্বু তাড়াতাড়ি আইয়ো, এখানে অনেক ধোঁয়া। এক সেকেন্ড পরে আর কোনো কথা নেই।’

সিটি কলেজের ছাত্রী লিমু। সবার ছোট আলিসা। সে ভিকারুননিসায় পড়ত। আগামীকাল রিয়ার আবার মালয়েশিয়ায় ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। বোনদের নিয়ে গিয়েছিলেন কাচ্চি ভাইয়ে। তবে আর ফেরা হলো না তাদের।

রিয়া মালয়েশিয়া ফিরে যাবে আবার। তাই মেয়েকে বিদায় দিতে হবে ভেবে মন খারাপ ছিল মা রাশেদা বেগমের। চিরতরে বিদায় দিতে হবে ভাবেননি। আর্তনাদ করে বারবার বলতে থাকেন, ‘মা আমার কোথায় গেলি। কত কষ্ট হইছিল তোর।’

তিনি বলেন, ‘একবার লিমুরে কল দিই। একবার রিয়ারে দিই। কাউরে আর পাই না। ফোন যায় না আর।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা