প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৭ পিএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৪ পিএম
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত সাংবাদিক ও নতুন ধারার দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক আবুল মোমেন শাহ আলমগীর ‘জার্নালিজম এক্সিলেন্স’ পুরস্কার পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পদক তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে গত বুধবার জুরিবোর্ড তার নাম ঘোষণা করে। প্রয়াত সাংবাদিক শাহ আলমগীরের স্মৃতির সম্মানে ‘শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স’ অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)।
বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, সাংবাদিক শাহ আলমেত সহধর্মিণী ফৌজিয়া বেগম মায়া প্রমুখ।
আবুল মোমেন বলেন, ‘খাবার টেবিলে খেতে খেতে মানুষ হত্যাযজ্ঞ দেখছে, কিন্তু কোনো কথা বলছে না। দিন দিন নাগরিক সমাজের মানবিকতা ক্ষয়ে যাচ্ছে। দেখতে দেখতে আমাদের বয়স অনেক হয়ে যাচ্ছে। অনেক রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। নানা রকম স্বীকৃতি-পুরস্কারও পেয়েছি। তবে আমি বলব, আজকে এখানে এসে এই আয়োজনের পেছনে আমি দেখতে পেয়েছি- সকলের আন্তরিকতা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। যার স্মরণে এই আয়োজন তার প্রতি যেমন এবং যাকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা হলো তার প্রতিও তাদের আন্তরিকতা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার নিদর্শন রয়েছে।’
বাংলাদেশের গণ্মাধ্যম নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকাল বাংলাদেশে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের অভাব নেই। কারণে এবং অকারণে অনেক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। অনেক চ্যানেল, অনেক রকম অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেখতে পাই। কিন্তু ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমরা খুঁজে পাই না এটা কেন বের করছে। কোনো কোনো পত্রিকায় মাসের পর মাস কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। অনেক সংবাদপত্রে শুনি বেতন দেওয়া খুব কঠিন। অনেক সাংবাদিক সচিবালয়ে যান খবর সংগ্রহ করতে। আবার অনেকে সচিবালয়ে যান ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে এবং তারা অন্যের হয়ে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য তৈরি থাকেন। ফলে সাংবাদিকের যে মৌলিক সত্ত্বা তা ক্ষুণ্ণ হয়। এমন পরিস্থিতিতে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করা কঠিন হয়ে পড়ে।’
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিশুদের নানারকম শিক্ষা ব্যবস্থা চাপানো হচ্ছে। আমরা শিশুদের কথা ভাবছি না। তিনি আরও বলেন, শাহ আলম ছিলেন হাসিমুখের একটা মানুষ। যাদের উপর আস্থা রাখা যায়। তিনি নিজের জন্য কখনো ভেবেছেন আমার মনে হয় না।
তিনি আরও বলেন, মানুষের আস্থার সংকট। সেটা ঠিক করতে হবে আমাদের। পৃথীবীকে বদলানোর আগে আমি যদি নিজেকে বদলাই আমি বদলাতে পারবো। শাহ আলমগীর সেই ধরনের একটা মানুষ ছিলেন।