বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:১৩ এএম
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৬ এএম
শাহবাগে ফুলতলা ফ্লাওয়ার শপ দোকানের লোকজনের হামলায় আহত হয়েছেন তিন সাংবাদিক। প্রবা ফটো
রাজধানীর শাহবাগে ফুলের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়ায় তিন সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মার্কেটের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফুলতলা ফ্লাওয়ার শপ নামের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার তিন সাংবাদিক হলেন নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের মনিরুল ইসলাম, রেডিও টুডের মো. ইমদাদুল আজাদ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রাসেল সরকার। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করেছেন। এতে সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ছয়-সাত জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন পায়েল, সাল্লু, আবদুর রাজ্জাক, বুলু, দিদার, বাবু, জাহাঙ্গীর। তারা সবাই শাহবাগ ফুল মার্কেটের কর্মচারী।
শাহবাগ থানার ওসি মো. মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, ‘দুজন সাংবাদিককে শাহবাগ ফুল মার্কেটে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।’
মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি আমার সহকর্মী রাসেল সরকারকে নিয়ে শাহবাগ ফুল মার্কেটে ফুলের দাম বাড়ার কারণসংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহে যাই। ফুলতলা ফ্লাওয়ার শপে কর্মরত পায়েলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি, একপর্যায়ে খারাপ আচরণ শুরু করে দেন। এ সময় আমাদের ভুয়া সাংবাদিক বলে আখ্যায়িত করেন। আমরা মৌখিকভাবে এর প্রতিবাদ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি-চড়থাপ্পড় মারতে শুরু করে। আমার সহকর্মী প্রতিবাদ করতে গেলে আরও ছয়-সাত জন এসে আমাদের দুজনকে মারধর করে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রেডিও টুডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. ইমদাদুল আজাদ। সাংবাদিক পরিচয়ে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে তাকেও মারধর করে করে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইমদাদুল আজাদকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করায় তার ডান চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী আমাদের চিনতে পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন এবং ইমদাদুল আজাদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। ইমদাদুল আজাদের চোখে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মনিরুল ইসলাম।
জানতে চাইলে শাহবাগ ফুলতলা ফ্লাওয়ার শপের মালিক মো. মেরিন শেখ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ঢাকার বাইরে আছি। শুনেছি দোকানে ঝামেলা হয়েছে। আমাদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।