প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:০৫ এএম
প্রতরণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি : সংগৃহীত
অবৈধভাবে ইনভেস্টমেন্ট ওয়েবসাইট পরিচালনা ও প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোসাদ্দেকুর রহমান ওরফে নীড়, মো. আনোয়ার হোসেন ও শাহিন ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি বলছে, এই চক্রটি একটি ওয়েবসাইটে বিনিয়োগের মাধ্যমে আয়ের ফাঁদে ফেলে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীর বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রথমে অল্প টাকায় লেনদেন শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে তাদের বানানো ওয়েবসাইটে টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে নেয়। এসব টাকা আটকে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে এবং নতুন করে বিনিয়োগের জন্য প্ররোচিত করে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিআইডি এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চক্রটি এক ভুক্তভোগীকে ফোন করে অনলাইনে কাজের অফার দেয়। এরপর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ইউটিউবে সাবসক্রিপশন করতে বলে। এতে ১০০ টাকা করে দিয়ে উৎসাহি করা হয় তাকে। এরপর তাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করে নেয় যেখানে আরও ভিকটিম যুক্ত ছিল। তখন ওয়েবসাইটে (www.cry-ptobdf.cc) রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা নিয়ে ভিকটিমের ওই ওয়েবসাইটের একাউন্টে জমা দেখানো হয়।
পাঁচ হাজার টাকা ইনভেস্ট করলে সাত হাজার টাকা, ১০ হাজার দিলে ১৪ হাজার টাকা পাওয়া যাবে—এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়। ভিকটিম যখন তাদের লোভনীয় অফারের ফাঁদে পা দিয়ে বড় বড় অ্যামাউন্ট ইনভেস্ট করে, তখনই প্রতারক চক্র টাকা আটকে দেয়।
সিআইডি জানায়, গ্রেফতার মোসাদ্দেকুর রহমান কৌশলে বিকাশ এজেন্ট সিম নিজের কাছে রেখে চক্রের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতারণার টাকা লেনদেন করেন। গ্রেফতার মো. আনোয়ার হোসেন বিকাশের ডিএসও এবং এজেন্টদের কাছ থেকে সিম সংগ্রহ করে মোসাদ্দেকুর রহমানকে দেন। শাহিন একজন বিকাশের ডিএসও। তিনি অন্যান্য ডিএসওদের কাছ থেকে এজেন্ট সিম সংগ্রহ করে মোসাদ্দেকুরকে দেন এবং মোসাদ্দেকুর প্রতারণার টাকা লেনদেনে সহায়তা করেন।