বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৭ পিএম
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে নয় দিনব্যাপী অমর একুশে অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ এই স্লোগানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা একুশের চেতনাকে ধারণ করে সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা থেকে দেশকে রক্ষা করতে সংস্কৃতিকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় সঙ্গীত, একুশের গান, আবৃত্তি ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে অমর একুশে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। উদ্বোধন পর্বের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল একক ও দলীয় আবৃত্তি ও সঙ্গীত, নাচ ও পথনাটক।
অনুষ্ঠান আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে এবং ১৭ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে প্রতিবারের মতো মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা চলবে।
অনুষ্ঠানে রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘দেশে সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা এখনো কমেনি। এখনো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে মাঝে মাঝেই। তাই আমাদের যারা সংস্কৃতিকর্মী রয়েছেন তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা এবং শোষণ-নিপীড়ন-বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংস্কৃতিকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় থাকতে হবে।’
উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক গোলাম কুদ্দুছ। স্বাগত বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. আহ্কাম উল্লাহ্। বক্তৃতা করেন অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক নাট্যব্যক্তিত্ব ঝুনা চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আজহারুল হক আজাদ।