প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:০৩ পিএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৭ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। প্রবা ফটো
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না বলে জনিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন সময় মাদক, ধর্ষণসহ নানা অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশের দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের পরিচালক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আগামী প্রজন্মকে জাহাঙ্গীরনগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করার স্বপ্ন দেখি। এমনকি যারা মাদক কারবার, চোরাচালানসহ অবৈধ ব্যবসা করেন সেই সব ব্যক্তিরাও তাদের সন্তানকেও বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করান। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা লেখাপড়া করুক এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হোক।’
সম্প্রতি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারদের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী বিষয়টি খুবই অ্যালার্মিং উল্লেখ করে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এখনই আরও কঠোর হতে হবে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যাম্পাসে মাদকসহ নানা অবৈধকাজ ঘটে। এই সব ঘটনা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয় রয়েছে। তারা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সহযোগিতা চান আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব। আমরা মনে করি, দেশের ভবিষ্যৎ সম্পদ, জাতির আগামীদিনের ভবিষ্যৎকে এভাবে নষ্ট হতে দিতে পারি না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মঈন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অপরাধে জড়ানোর বিষয় আগেই সতর্ক হওয়া দরকার ছিল। আমরা সবাইকে খারাপ বলব না। কারণ যারা এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারাই তো আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে। তাই আমি মনে করি শুধু এখন না সব সময় তাদের নজরদারিতে রাখা উচিত। কারণ শিক্ষার্থীদের বয়স অনেক কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধরেন মামুনের মতো লোকজন শিক্ষার্থীদের নষ্ট করছে। মামুনের মতো লোকেরাই নিজেদের স্বার্থে, নিজেরাই অপকর্ম করার জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থী যারা আছে তাদের এমন করে বিপথে নেওয়ার দায় দায়িত্ব আমাদের সকল স্টেক হোল্ডারদের নিতে হবে। অভিভাবক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক সমাজ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গণমাধ্যমকে এর দায় নিতে হবে।’