প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৫ পিএম
লিডো পিসহোমে পিঠা উৎসব ও গ্যালারি উদ্বোধন। প্রবা ফটো
মাঘের শীতে পিঠা পুলির আসর মানেই ভিন্ন একটি অনুভূতি। পিঠার আয়োজনের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আয়োজন এই বাংলার ঐতিহ্যকে করে তোলে আরও আনন্দদায়ক।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো পিঠা উৎসব। লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-লিডো প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত পথশিশুদের স্থায়ী নিবাস লিডো পিস হোমে আয়োজিত এই উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল ঢাকা পিকচার্স ফটো গ্যালারি উদবোধন।
সম্প্রতি দ্বাবিংশ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যালে অংশগ্রহণকারী আই এম সামবডি খ্যাত ডাচ নির্মাতা কনরেডের তত্ত্বাবধানে পথশিশু বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের একটি অংশ ফটো জার্নালিজম অ্যান্ড কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের উপর কোর্স সম্পন্ন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় লিডো পিস হোমে তাদের তোলা ছবির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এই শিশুদের সমন্বয়ে গঠিত দলটি ঢাকা পিকচার্স নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। যার ভিত্তিতে তারা আগামীতে ডকুমেন্টারি, ড্রামা এবং ফিল্ম প্রোডাকশনের সুযোগ উন্মুক্ত করবে। যার মাধ্যমে অবহেলিত মানুষের কথা তারা তুলে ধরবে বিশ্বের বুকে।
ঢাকা পিকচার্সের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই গ্যালারি উদবোধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি মাহবুবুল হক, ফ্রেন্ডস অফ স্ট্রিট চিলড্রেন অব বাংলাদেশ, ইউকের চেয়ারম্যান মাইক শেরিফ, লিডোর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন, ডাচ নির্মাতা কনরেড, আকর ফুডের প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান সাব্বি, ব্যাম্বো চিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক জুবায়ের, লিডোর ফিন্যান্স ডিরেক্টর, মুর্শিদা আক্তার কান্তা, থার্ড আই কমিউনিকেশনসের নির্বাহী মঈন খান, ভাস্ট ডট এর সিইও এবিসি জাবের, আর্ট উইথ মার্সের প্রধান শিল্পী মাহবুবা আহমেদ মিথিলা এবং বিশিষ্ট সংস্কৃতিকর্মী নার্গিস আক্তার প্রমুখ।
আয়োজনে শিশুদের অংশগ্রহণে পিঠা উৎসব, স্পেশাল চাইল্ডদের তৈরি হস্তশিল্পের মেলা এবং নিরাপদ পন্যের প্রদর্শনী ছিল।
অনুষ্ঠানে শিশুদের অংশগ্রহণে নাচ, গান ও নাটকের পরিবেশনা ছিল এবং সবশেষে দি আন টলড স্টোরি নামক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনী হয়।
আয়োজনের সার্থকতা প্রসঙ্গে লিডোর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, এই শিশুদের সক্ষমতা অনেক, কেবল সুযোগ প্রয়োজন। সবাইকে তাই এদের সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে আসা উচিত।
মাইক শেরিফ বলেন, এই শিশুদের পিঠা অনেক মজা আর বিশ্বকাপ এই শিশুদের জীবনে অনেক পরিবর্তন এনেছে।
নির্মাতা কনরেড জানান, এই ওয়ার্কশপ পরবর্তী ধাপ চলমান থাকবে এবং অনলাইনে নিয়মিত সেশনের মাধ্যমে এই শিশুদের মেধা এই ক্রিয়েটিভ খাতে শানিত করতে সদা কাজ করে যাবো।
ঢাকা পিকচার্সের পক্ষ থেকে জেসমিন আক্তার জানান, আমরা মনযোগ দিয়ে এই ওয়ার্কশ করেছি আর তার ছাপ এই প্রদর্শনীতে দেখতে পাচ্ছেন। আমরা এই ফিল্ডে অনেকদূর যেতে চাই।
দিনশেষে সবার আশাবাদ এই শিশুদের জীবনের বাধা কেটে যাক এবং এমনি হাসিখুশিতে তাদের জীবন এগিয়ে যাক অনেকদূর।
এই লিডো পিস হোমের শিশুরা পাসপোর্ট এর বাধা পেরিয়ে পথশিশু বিশ্বকাপের পরপর তিনটি আসরে এবং ক্রিকেট ও ফুটবল ফরম্যাটে অংশগ্রহণ করেছে এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। পিস হোমের শিশুদের লিডো পথের জীবন থেকে উদ্ধার করে সমাজের আর দশটি শিশুর মতো জীবন প্রদানে কাজ করছে। সমাজের সবাই এগিয়ে আসলে এদের জীবন উন্নয়নে অনেক কিছুই করা যাবে।