মহিলা পরিষদের বিবৃতি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:০৭ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৭ পিএম
হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ট্রান্সজেন্ডার আখ্যায়িত করে শিক্ষা কারিকুলামের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটি মনে করে, হিজড়া জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য প্রচার করার মাধ্যমে দেশের স্বাভাবিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এই জনগোষ্ঠীর জীবন নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক জাতীয় পাঠ্যবইয়ের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান বইয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী বিষয়ক অধ্যায়ে থাকা শরীফার গল্প যে দুটি গৃষ্ঠায় আছে সেই পৃষ্ঠা দুটি সবাইকে বই কিনে ছিঁড়ে ফেলার আহবান জানান এবং নিজেও পৃষ্ঠা দুটি ছিঁড়ে ফেলেন। এই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ট্রান্সজেন্ডার আখ্যায়িত করে শিক্ষা কারিকুলামের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ। শিক্ষা কারিকুলামে দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠী সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীদের মানবাধিকারের আলোকে মানস গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের এই জনগোষ্ঠী সম্পর্কে নেতিবাচক, বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ও আচরণ অগ্রহণযোগ্য, মানবাধিকারের পরিপন্থী এবং শিক্ষক হিসেবে তার যোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, রাষ্ট্র যেমন ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ পরিচয়ে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে, পাশাপাশি শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, পরিবারের সদস্যসহ নাগরিক সমাজের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। বিবৃতিতে সকল ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠীর মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করাসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।