প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৯ পিএম
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৪৪ এএম
আমদানি করা গাড়ি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রবেশে পথে পথে হয়রানির অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। এ ব্যাপারে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মইনুল হাসান আশ্বস্ত করেছেন, অযৌক্তিকভাবে কেউ কোনো হয়রানির শিকার হবে না।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বারভিডার সম্মেলন কক্ষে বারভিডা ও মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগে যৌথ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মতিঝিল ট্রাফিক কার্যালয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর হতে আমদানিকৃত গাড়ি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার প্রবেশপথে অযৌক্তিকভাবে যাতে কোনো মামলার শিকার না হয় এবং বিআরটিএর গ্যারেজ টোকেন যৌক্তিকতার সঙ্গে দেখা হয় তার জন্য অনুরোধ করা হয়।
বারভিডা নেতারা বলেন, আমদানিকৃত গাড়ি স্থান পরিবর্তনের জন্য বিআরটিএ গ্যারেজ নম্বর ব্যবহারের প্রথা চালু কিংবা বৈধতা রয়েছে। এ ছাড়াও মোংলা ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার পথে গাড়িগুলোর ‘চৌর্যকার্য’ রোধ আরও নিরাপত্তা জোরদারসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়।
ডিসি ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের জনাব মোহাম্মদ মইনুল হাসান (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বারভিডার প্রস্তাবসমূহ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন এবং অযৌক্তিকভাবে কেউ কোনো হয়রানির শিকার হবে না বলে জানান। এ ব্যাপারে শতভাগ আশ্বস্ত করেন তিনি। তিনি তার বক্তব্যে প্রত্যেক শো রুমের সামনে যাতে আগত ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা কোনো গাড়ি মূলসড়কে অবৈধ পার্কিং না করে, সেজন্য অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে প্রত্যেক ব্যবসায়ী তার স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত সিসিটিভির ব্যবস্থা করেন, সেজন্য তিনি অনুরোধ করেন।
বারভিডা প্রেসিডেন্ট মো. হাবিব উল্লাহ ডনের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ) মোহাম্মদ মইনুল হাসান পিপিএম উপস্থিত ছিলেন। বারভিডা সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এবং বারভিডা ভাইস প্রেসিডেন্ট-২ ও বারভিডা বিআরটিএ-বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রিয়াজ রহমানও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও সংগঠনের বিপুলসংখ্যক সদস্যসহ ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, বারভিডা দীর্ঘ প্রায় ৪ দশক ধরে দেশে জাপানের মানসম্মত ও পরিবেশবান্ধব গাড়ি আমদানির মাধ্যমে দেশের পরিবহন খাতে অবদান রেখে চলেছে। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বারভিডা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার স্থানীয় বিনিয়োগ এবং বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়াও বারভিডা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প, ওয়ার্কশপ ও গাড়িচালকদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশে লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত।