প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৪ পিএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:০০ পিএম
কারওয়ান বাজারে জালালাবাদ ভবনের ছাদে আয়োজিত জালালাবাদ পিঠা উৎসবে অতিথিরা। প্রবা ফটো
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জালালাবাদ ভবনে জড়ো হয়েছিলেন সিলেট বিভাগের শিশু, তরুণ, যুবক ও প্রবীণরা। শীতের সকালে যেখানে লেপ-কাঁথার উম প্রিয়, তা ছেড়ে সবাই এসে জড়ো হন ভবনটির ছাদে। মূলত জড়ো হওয়ার উপলক্ষটি জালালাবাদ পিঠা উৎসব।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে চলে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। দীর্ঘ ৭৫ বছর যাবত পালিত হচ্ছে উৎসবটি। সিলেটের আঞ্চলিক পিঠা থেকে শুরু করে দেশের অন্যান্য স্থানের পিঠাও স্থান পাওয়া যায় এই উৎসবে। কেউ-কেউ নিজে খেয়ে নিয়ে গেছেন পরিবারের জন্যও।
উৎসবে অংশ নেন সংগঠনটির সভাপতি সি এম কয়েস সামি, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, সাবেক মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
পিঠা উৎসবে ছিল সঙ্গীত, কবিতা আবৃত্তি, স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা। বক্তব্যে প্রত্যেকেই সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দীর্ঘ এক কবিতা আবৃত্তি করে চমকে দেন ইনাম আহমদ চৌধুরী।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, এটি আমাদের ৭৫ বছরের ঐতিহ্য। ধারাবাহিকভাবেই উৎসবটি পালিত হচ্ছে। এখানে যে শুধু পিঠা খাওয়ায় প্রধান উদ্দেশ্য তা নয়, বরং একে অন্যের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত হওয়া, খোঁজ-খবর নেওয়া ইত্যাদি।
মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, পৃথিবীটা সুন্দর। এটিকে আরও সুন্দর করার দায়িত্ব সবার। এজন্য প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি। সিলেটে নামকরা সব শিক্ষিত লোক ছিল। তারা সিলেটের জন্য যেমন সুনাম বয়ে এনেছেন, সঙ্গে দেশ ও বিদেশেও সাফল্য দেখিয়েছেন। আমাদের মোরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের শিক্ষার মান এখন অনেক নিচে চলে গেছে। সিলেটের শিক্ষার গৌরব আবার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আব্দুল মোমেন বলেন, সিলেট ধর্মবিষয়ক পর্যটনের স্থান। এখানে অনেক পীর, অলি-আউলিয়ার মাঝার আছে। দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে মানুষ এখানে মাঝার জিয়ারত করতে আসেন। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধার কারণে এটিকে সমৃদ্ধময় পর্যটনশিল্পের স্থানে উন্নীত করা যায়নি। এজন্য আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে করে সিলেটকে পর্যটন, ব্যবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান সমৃদ্ধ বিভাগে পরিণত করা যায়।