প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:২১ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৬ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের কারও অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের ‘নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪’-এর সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকারের ভিত্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) টিআইবির এক বিবৃতিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণপূর্বক টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে দ্বাদশ সংসদে সদস্যদের প্রায় ৮৫ শতাংশই কোটিপতি (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে)। একশ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে এমন সংসদ সদস্য সংখ্যা ১৫। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের অস্থাবর সম্পদের সম্মিলিত মূল্য ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গড় অস্থাবর সম্পদের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, দশম সংসদের তুলনায় একাদশ সংসদে সম্পদ বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। দ্বাদশ সংসদে বৃদ্ধির হারও প্রায় একই (৭০.৪১ শতাংশ)। আবার বছরে এক কোটি বা তার বেশি টাকা আয় করেন এমন ১১২ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন এবারের সংসদে, যা পুরো সংসদের প্রায় ৩৮ শতাংশ। আর ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আয় করেন ৫২ শতাংশ সংসদ সদস্য।
নতুন সংসদ সদস্যদের ৬৫ শতাংশই ব্যবসায়ী, যা সর্বশেষ চারটি সংসদের মধ্যে সর্বোচ্চ। নবম জাতীয় সংসদে ৫৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, দশম জাতীয় সংসদে ৫৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং একাদশ জাতীয় সংসদে ৬১ শতাংশ সংসদ সদস্য ছিলেন ব্যবসায়ী। অন্যদিকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদে সদস্যদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার ছিল ১৮ শতাংশ।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের আইনে (ল্যান্ড রিফর্ম অ্যাক্ট, ২০২৩) একজন ব্যক্তির ভূমির মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা (কৃষিজমির ক্ষেত্রে ৬০ বিঘা এবং অকৃষিজমিসহ ১০০ বিঘা পর্যন্ত) বেঁধে দিলেও আইনি সীমার বাইরে জমি আছে ১৩ জন সংসদ সদস্যের কাছে, যা প্রায় ৮০০ একর (৩ বিঘায় ১ একর বিবেচনায়)। বিধিবহির্ভূতভাবে অর্জিত এই সম্পদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আইনি সীমার বাইরে মোট যে বাড়তি ৮০০ একরের বেশি জমি বিধিবহির্ভূতভাবে সংসদ সদস্যদের মালিকানায় রয়েছে, তা যথাযথ প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণের আহ্বান জানাই আমরা।’