ডিবির ব্রিফিং
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:২০ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৫ পিএম
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলন করেছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ। শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে। প্রবা ফটো
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের (হাইপ্রোফাইল) নেতারা ভিডিও কনফারেন্সে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনাকারী ছিলেন ১০/১১ জন। আগুন দেওয়ার জন্য সুবিধাজনক দুটি জায়গা নির্ধারণ করেছিলেন তারা। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় যুবদল নেতার তত্ত্বাবধানে। ট্রেনে আগুন দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয় কয়েকজন দাগি সন্ত্রাসীকে। তাদের সহায়তা করে যুবদলের একটি টিম। তারা ট্রেনে আগুন দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ। ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন ডিবিপ্রধান।
গ্রেপ্তাররা হলেন, যুবদল নেতা কাজী মনসুর আলম, মো. ইকবাল হোসেন স্বপন, মো. রাসেল, দেলোয়ার হাকিম বিপ্লব, মো. সালাউদ্দিন, মো. কবির, মো. হাসান আহমেদ এবং বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী।
হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘ট্রেনে আগুন লাগার আগে বিএনপির ১০/১১ জন ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু পরিকল্পনা করেন। কনফারেন্সে প্রথমে আসেন মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম। এরপর আসেন সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ গাফফার, ইকবাল হোসেন বাবলু, একজন দপ্তর সম্পাদক ও কাজী মনসুর।’
তিনি বলেন, ‘ওই ভিডিও কনফারেন্সে তারা বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে বিশেষ করে নরসিংদীর কাছে সুবিধাজনক স্থানে অগ্নিসংযোগ করার কথা বলেন। বিকল্প হিসেবে আরেকটি স্থান কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ লাইনে আপ-ডাউনে সুবিধাজনক স্থানে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার সিদ্ধান্ত হয়।’
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নের তত্ত্বাবধানে যুবদলের কয়েকটি টিম লালবাগের কয়েকজন দাগি সন্ত্রাসীদের দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন লাগানো হয়। ভিডিও কনফারেন্সে বলা হয়, ট্রেনে কে আগুন লাগাবেন? কনফারেন্সে থাকা ১০-১১ জনের একজন বলেন তিনি আগুন লাগাতে পারবেন। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে তার নামটি আমরা বলব না।’
হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সে থাকা আরও তিনজন আগুন লাগাতে পারবে বলে জানায়। তারা ২০১৩-১৪ সালে বিভিন্ন এলাকায় বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল, যাত্রাবাড়ীর আশপাশের এলাকা থেকে ট্রেনটিতে অগ্নিসংযোগ করে।’
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘যে মোবাইল থেকে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়েছিল সেই মোবাইলটি উদ্ধার করেছে ডিবি। মোবাইলটি কাজী মনসুরের। তিনি আমাদের কাছে গ্রেপ্তার আছেন।’ যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের রিমান্ডে এনে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।