প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩১ পিএম
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:১৩ পিএম
রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা পরিষদের মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রবা ফটো
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বন্ধের যে আহ্বান জানাচ্ছে, তাতে কারও কোনো সাড়া নেই। দলটির লিফলেট বিতরণ দেখে বানরও ভেংচি খাচ্ছে। সারা বিশ্ব এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে। তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা পরিষদের মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাধীনতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীনতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.শাহাদাত হোসেন টয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন অরাজকতাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। বিএনপি আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করেছে কিন্তু মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয় নাই। নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড, নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির লিফলেট বিতরণ ও চোরাগুপ্তা মিছিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ব্যবস্থা নিতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যাদের দুয়ারে ধরনা দিত নির্বাচন বন্ধের জন্য, তাদের দুয়ার বন্ধ হয়ে গেছে। বিএনপির অনেকেই নির্বাচন করছে। মানুষ পুরোপুরিভাবে নির্বাচনমুখী। বিএনপির অনেক কর্মীসমর্থকরাও নির্বাচন করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিএনপির বহু নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। বিএনপির ভোট বর্জনের তর্জন গর্জন কেউ শোনেনি, সেটি গাড়ির হর্নের মধ্যে হারিয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করার জন্য যাদের দরজায় গিয়ে ধরনা দিত এখন তাদের দরজা বিএনপির জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনকে বর্জন করার যে আহ্বান জানিয়েছে সেটিতে কারো কোনো সাড়া নেই। এখন তারা লিফলেট বিতরণ করা শুরু করেছে। এই লিফলেট বিতরণে কারো কোনো সাড়া নেই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে নির্বাচনী ঝড় বইছে। মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। বিশ্ববাসীও এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে। তারা নির্বাচনকে গ্রহণ করার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওআইসি এবং সার্কভুক্ত দেশগুলো অবজার্ভার পাঠিয়েছে এবং দেশগুলো অবজার্ভার পাঠাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় দল আগামী ৫ তারিখ বাংলাদেশে আসবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। বিভিন্ন সিভিল সোসাইটির বড় একটি বেসরকারি দল দেশে আসবে। সমগ্র পৃথিবী এই নির্বাচনকে নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে কারণেই বিভিন্ন দেশ থেকে এদেশে পর্যবেক্ষক পাঠানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তাদের শক্তি, দৃঢ়তা, সক্ষমতা প্রকাশ করেছে। তারা বাংলাদেশের বেশিরভাগ ওসি ও ইউএনওকে ট্রান্সপার করেছে। নির্বাচন কমিশন এর মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে দৃঢ়তা প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে।