বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:০৯ পিএম
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৬ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) টিএসসিতে প্রথমবারের মতো দেশের প্রথম বিদ্যুচ্চালিত ও দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল থেমেছে আজ বুধবার। এতে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত ঢাবি ও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ১৪ মিনিটে প্রথমে মতিঝিল থেকে উত্তরা অভিমুখী ছেড়ে আসা মেট্রোরেলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি স্টেশনে থামে। এরপর উত্তরা থেকে মতিঝিল অভিমুখের ট্রেনটি সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে এ স্টেশনে এসে পৌঁছায়। স্টেশনটি সকাল সাড়ে ৬টায় খুলে দেওয়া হয়।
আজ বুধবার থেকে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে আরও দুটি স্টেশন চালু হলো। এর ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। স্বল্প সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তরা পর্যন্ত যাওয়া আসার ক্ষেত্রে কষ্ট লাঘব হয়েছে বহুগুণ। এতে খুশি যাত্রীরা। এই স্টেশন দুটি চালুর ফলে মেট্রোরেলের ১৭টি স্টেশনের মধ্যে বাকি থাকবে কাওরান বাজার, শাহবাগ এবং কমলাপুর স্টেশন। যদিও কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন বর্ধিতের কাজ চলছে। বাকি স্টেশনগুলোও এই মাসের মধ্যে চালুর কথা রয়েছে।
মেট্রোরেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসা ঢাবি শিক্ষার্থী ফাহিম হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন জ্যাম ঠেলে অনেক সময় রাস্তায় পার করে ক্লাস করতে আসা লাগত, কিন্তু আজকে মাত্র ১০ মিনিটে জ্যাম ছাড়া ক্যাম্পাসে আসলাম, আমি আনন্দিত। এতে আমার সময় বাঁচবে, নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারব।’
ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই মেট্রোরেলে উঠব ভেবে এসেছি তবে এতদিন হয়ে উঠেনি। আজ টিএসসি স্টেশন চালু হওয়ার পর মেট্রেরেলে প্রথম উঠেছি। যাত্রা ছিল মতিঝিল পর্যন্ত। কম সময়ে পৌঁছাতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। মতিঝিলে কাজ শেষ করে আবার দ্রুত ক্যাম্পাসে আসতে পেরেছি। সব মিলিয়ে মেট্রেরেলে উঠার প্রথম অভিজ্ঞতা দারুণ।’
এদিকে মেট্রোরেলের ঢাবি স্টেশন চালুর বিষয়টি উদযাপন করতে সকাল থেকে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিড় জমান। উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘মেট্রোরেল তারুণ্যের ড্রিম প্রজেক্ট ছিল, সেটি বাস্তবায়ন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুশি হয়ে বেশ কয়েক দিন আগে নাচে-গানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি উচ্ছ্বসিত।’