জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও সাম্প্রতিক অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘একুশে আগস্টের ভুক্তভোগী পরিবার, জিয়ার শাসনকালে রাষ্ট্রীয় গুম এবং বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তি ও পরিবারবর্গ’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবার।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মায়ের কান্নার আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান লেলিন, নিহত সার্জেন্ট হাশেম মজুমদারের সন্তান মামুনুর রশীদ মামুন, আকবর আলী খানের সন্তান মুনীম, চাকরিচ্যুত সার্জেন্ট আবদুল গণি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি সিদ্দিকের সন্তান মাসুমা বেগম। এ ছাড়া ১৯৭৭ সালের ৩ অক্টোবর নিহত সেনা সদস্যদের স্বজন এবং ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় ভুক্তভোগী সদস্যরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

মো. কামরুজ্জামান লেলিন বলেন, গাড়ি পুড়িয়ে গ্রেপ্তার হলে তাদের ব্যাপারে মানবতা লঙ্ঘিত হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল? জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর অনুসারী মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ১ হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তখন দেশের সুশীলসমাজ ও সংগঠনগুলো মানবাধিকারের কথা বলেনি। সমস্ত হত্যা ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা চিহ্নিত। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ১৯৭৭ সালে জাপানি বিমান হাইজ্যাকের ঘটনা কেন্দ্র করে জিয়াউর রহমান ১ হাজার ৫০০ মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে। তাদের কোনো বিচার করা হয়নি। নিয়মমতো পরিবারের কাছে তাদের লাশও হস্তান্তর করা হয়নি। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বিএনপির চর হিসেবে কাজ করছেন। তিনি কখনও ১৯৭৭ সালের ঘটনার কথা শোনেননি। তাদের হত্যা করে জিয়াউর রহমান মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছিল। জাতীয় চার নেতাকে অসহায় অবস্থায় জেলখানায় হত্যা করা হয়েছিল। তার পথেই খালেদা জিয়া শাসন করেছে।

এ সময় তারা সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানো, তার মরণোত্তর বিচার এবং জিয়ার আমলে হওয়া সব হত্যা যাচাইয়ে কমিশন গঠন করার দাবি জানান।