× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শেষ হলো ঢাকার ওয়ানগালা

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:০৫ পিএম

ঢাকার ওয়ানগালা উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করছেন গারো বা মান্দিদের ‍শিল্পীরা। প্রবা ফটো

ঢাকার ওয়ানগালা উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করছেন গারো বা মান্দিদের ‍শিল্পীরা। প্রবা ফটো

খাবার নিয়ে স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উৎসব ওয়ানগালা। একই সঙ্গে অতিথিকে অভ্যর্থনা জানানোর উৎসব। গারো বা মান্দিদের সবচেয়ে বড় উৎসব। জুম থেকে উৎপাদিত প্রথম ফসল দেবতাকে উৎসর্গ করা হয় উৎসবের দিন। গ্রামের সেই উৎসব ঢাকায় সেভাবে না হলেও তরুণ প্রজন্ম যেন উৎসবটিকে ভুলে না যায়, তাই প্রতিবছর ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ওয়ানগালা উদযাপন করে রাজধানীতে বসবাসরত এ জনগোষ্ঠী।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুলমাঠের প্রাঙ্গণে শস্যদেবতা মিনি মারাখমিমা ও মিসি সালজংকে শস্য উৎসর্গের মধ্য দিয়ে এ বছরের ঢাকার শেষ ওয়ানগালা উদযাপন হয়। শুরুতে খামাল (পুরোহিত) তার মন্ত্রপাঠে দেবতাকে শস্য দান করেন। এ বছর খামাল ছিলেন নরেশ মৃ।

উৎসব মান্দিদের হলেও চাকমা, মারমা, ম্রো, বাঙালিসহ বিভিন্ন জাতির মানুষের সমাগম দেখা যায়। অনন্ত ধামাই বলেন, আমরা পাহাড়ের আদিবাসী হলেও সমতলের গারোদের এ উৎসবে প্রতিবছরই আসি। আমার কাছে মনে হয় নিজেদের অধিকারের লাড়াইয়েও পাহাড় আর সমতলের সবাইকে এক হতে হবে। এ উৎসব সে জায়গাটা আমাদের করে দেয়। 

টাঙ্গাইলের মধুপুরের বাসিন্দা অলীক মৃ। জাতিতে মান্দি হলেও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সবাইকে নিয়েই ঘুরছেন উৎসব প্রাঙ্গণে। তিনি বলেন, প্রকৃতপ্রক্ষ ওয়ানগালা ঢাকায় সম্ভব না। এখানে এক অর্থে মিলনমেলা হয়। মূলত উৎসব হয় গ্রামে। গ্রাম প্রধানের ঘরে আসে সবাই এই দিনে। সবচেয়ে ভালো ফসলগুলো মিসি সালজংকে (সূর্য দেবতা) উৎসর্গ করা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্তনীতি বিভাগের শিক্ষক ফারহা তানজীম তিতিল বলেন, আজকের পৃথিবীতে আমরা বুঝতে পারছি না ক্ষুধা কী? ওয়ানগালা আসলে গারো বা মান্দির দেবতাকে উৎসর্গ করে প্রথম ভাত, প্রথম চাল গ্রহণ করার উৎসব। এর মূল জায়গা হচ্ছে জীবন ও ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি উৎসব। যেখানে সৃষ্টিকর্তাকে খাবার উৎসর্গ করে মানুষ এই চাল খায়। এটাই ওয়ানগালার মূল বিষয়। ওয়ানগালা আগে তিন-চার দিন ধরে হতো। তখন সঙ্গী বাছাই করা হতো। এমন অনেক কিছু ঢাকায় হয় না। তবে মূল বিষয় হচ্ছে খাবার নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। অতিথিকেকে অভ্যর্থনা জানানো। সেই আনন্দটা সবাই অনুভব করতে পারেন । সেজন্য পাহাড়-সমতলের সব তরুণ এখানে আসছে এটা এ সময়ে খুব আশাবাদী বিষয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা