প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৩ পিএম
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:০৮ পিএম
মিরপুরের এই জলাশয় ভরাট করে ল্যাব নির্মাণ করছে বিএডিসি। সংগৃহীত ফটো
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুর মৌজার গৈদারটেক এলাকায় ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানে (২০২২-২০৩৫) চিহ্নিত জলাশয় ভরাট করে টিস্যু কালচার ল্যাব নির্মাণ করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। এ কাজ বন্ধ এবং জলাশয় সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে পত্র দিয়েছেন দেশের ৮ বিশিষ্ট নাগরিক।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার পত্রটি প্রেরণ করা হয়েছে।
পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) গবেষণা অনুযায়ী ১৯৯৫ সালে ঢাকায় জলাধার ও জলাভূমির পরিমাণ ছিল ২০.৫৮ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ২.৯১ শতাংশ। একটি আদর্শ শহরে ১০ থেকে ১২ শতাংশ জলাশয় থাকার কথা। তার বিপরীতে রাজধানীতে রয়েছে মাত্র ২.৯১ শতাংশ, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। জলাশয়সমূহ ভরাটের কারণে সামান্য বৃষ্টিতে ঢাকা মহানগরে প্রচণ্ড ও দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ওই পত্রে ‘উন্নয়নের নামে জলাশয় ভরাট করা যাবে না’ বলে উল্লেখ করা হয়।
তাতে আরও বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিএডিসি আধুনিক পদ্ধতিতে বীজআলু উৎপাদনের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত গৈদারটেক এলাকায় ১২ একর জলাশয় ভরাট করছে। জলাশয়টি ডিএনসিসির ওয়াটার লেগুলেটিং পোন্ডের সীমানায় অবস্থিত।
প্রেরিত পত্রে বিএডিসির জলাশয় ভরাটের সকল কার্যক্রম বন্ধ এবং ভরাট করা অংশ পুনরুদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
পত্র প্রেরণকারীদের মধ্যে রয়েছেন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ও পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান।