প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০৩ পিএম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:২৫ এএম
রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ভূমিদস্যু খ্যাত মাফিয়া গডফাদার। এবার ষড়যন্ত্র চলছে বালু নদ থেকে উদ্ধার হওয়া ৯ বছরের শিশু ওসমান গণি স্বাধীনের লাশ নিয়ে। পুলিশ শিশুটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার আগেই মাফিয়া গডফাদার তার মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল, পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে চালাচ্ছে ভয়াবহ মিথ্যাচার, লাশ নিয়ে শুরু করেছে নোংরা রাজনীতি। তার মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যমে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই দাবি করা হচ্ছে, শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান, তার ভাই ও পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নাওড়া গ্রামের গ্রিল মিস্ত্রি শাহীনুরের ছেলে স্বাধীন মেলায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এর তিন দিন পর সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কায়েতপাড়া বাজারের উত্তরপাশে বালু নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় স্বাধীনের লাশ উদ্ধার করে ডেমরা রাজাখালি নৌ-ফাঁড়ির পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য স্বাধীনের লাশ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেদিন মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে স্বাধীনের বাবা শাহীনুর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এলাকায় কারও সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব নেই। তার ছেলেকে কেউ হত্যা করেছে কি না তা তিনি জানেন না। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ।
এদিকে শিশু স্বাধীনের মৃত্যুর ঘটনায় চিহ্নিত ভূমিদস্যু গ্রুপের মাফিয়া গডফাদার যেন আলাদীনের চেরাগ পেয়েছে হাতে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংধনু গ্রুপকে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মাফিয়া গডফাদার। নিজের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুরুতেই শিশু স্বাধীনের দাদা রেজাই ও পরিবারের সদস্যদের প্রলোভন কিংবা ভয় দেখিয়ে নিজেদের কব্জায় নিয়েছে গডফাদার। এবার তাদের দিয়ে বলানো হচ্ছে, স্বাধীনের মৃত্যুর ঘটনায় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান, তার ভাই ও পরিবারের সদস্যরা সরাসরি দায়ী। স্বাধীনের স্বজনদের অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রেখে তাদের দিয়ে বলানো হচ্ছে গডফাদারের টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার সাংবাদিকদের শিখিয়ে দেওয়া বুলি। এরপর এসব মিথ্যা তথ্যকেই প্রচার করা হচ্ছে সংবাদ হিসেবে। ফেসবুক, ইউটিউবে ভুয়া আইডি খুলে সেই মিথ্যা সংবাদের ক্লিপও প্রচার করা হচ্ছে।
গত ২৭ বছর ধরে হুমকি-ধমকি দিয়ে এবং সাজানো মামলার ফাঁদে ফেলে এই ভূমিদস্যু মাফিয়া গডফাদার যেভাবে সাধারণ মানুষের সর্বস্ব লুটে নিয়ে টাকার কুমির বনে গেছে- সেই একই কায়দায় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারকে ঘায়েল করে নাওড়া ও কায়েতপাড়া ইউনিয়নের দখল নিতে চাইছে গডফাদার। কারণ এই গ্রাম থেকে গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ করে তাদের সকল জমি, ভিটেমাটি দখলে নিতে চায় এই ভূমিদস্যু। কিন্তু গডফাদারের কবল থেকে নিজের গ্রামবাসীকে রক্ষায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম। এর ফলে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ভূমিদস্যুদের সর্দার মাফিয়া গডফাদারের খামখেয়ালির রাজত্ব। এতেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের ওপর। নিজের স্বেচ্ছাচারিতা বহাল রাখতে রংধনু গ্রুপের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে মাফিয়া গডফাদার।
রংধনু গ্রুপ কর্তৃপক্ষ জানায়, কিছুদিন আগে বাড়ি ভাঙচুরের একটি সাজানো মামলায় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানকে হয়রানি করার ফাঁদ পেতেও লাভ হয়নি গডফাদারের। ওই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এবার শিশু ওসমান গণি স্বাধীনের মৃত্যুর ঘটনায় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারকে জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে সে। দেশের অন্যতম ভূমিদস্যু, লুটেরা, ধর্ষক, খুনি এই মাফিয়া গডফাদারের হাত থেকে রংধনু গ্রুপ এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে রংধনু গ্রুপ কর্তৃপক্ষ।