× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মন্ত্রণালয় না থাকায় সমতলের আদিবাসীরা বঞ্চিত হচ্ছে : মেসবাহ কামাল

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:১০ পিএম

মন্ত্রণালয় না থাকায় সমতলের আদিবাসীরা বঞ্চিত হচ্ছে : মেসবাহ কামাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষ যুদ্ধ করে একটি মন্ত্রণালয় পেলেও সমতলের আদিবাসীরা এখনো পায়নি। বাজেট বরাদ্দ হয় মন্ত্রণালয়ের ভিত্তিতে। তাই মন্ত্রণালয় না থাকায় সমতলে বড় আদিবাসী জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বৃহত্তর ময়মনসিংহের আদিবাসী সংগঠনের ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরাম খা হলে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অজয়. এ. মৃ ও মহাসচিব অরন্য ই. চিরান।

মেসবাহ কামাল বলেন, আদিবাসীদের প্রকৃত সংখ্যা গণনায় উঠে আসেনি। কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪২ লাখ আদিবাসী রয়েছে। অনেক জনগোষ্ঠী এখনো স্বীকৃতি পায়নি।

আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সঠিক সংখ্যা নিরূপনে পরিকল্পনামন্ত্রী যে কথা দিয়েছিলেন তার রাখার দাবি জানান মেসবাহ কামাল।

তিনি বলেন,  সমতলের আদিবাসীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি সেল আছে। এছাড়া তাদের জন্য কোনো বাজেট নেই। সেই সেলে আবার দলিতসহ অন্যান্য কিছু যুক্ত রয়েছে তা শুধুমাত্র সমতলের আদিবাসীদের জন্য নয়। সেলের অবস্থাও ভালো না। এছাড়া সমতলের আদিবাসীরা তাদের ভূমি হারাতে হারাতে নিস্ব প্রায়। এখন উত্তরবঙ্গে মাত্র ৮ শতাংশ কৃষিকাজ করে। বাকি ৯০ ভাগ দিনমজুর বা অন্য কোনো কাজ করে চলে। তাদের নিজের জমি নেই। এছাড়া চাকরিতে আদিবাসীদের যে কোটা সেটা দরকার। কারণ তাদের জন্য এখনো প্রতিযোগিতাটা মোকাবিলা করার সময় আসেনি। তাদের সে জায়গা করে দেওয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলেন লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সারা বিশ্বে ৭০টি দেশে প্রায় ৩০ কোটি আদিবাসী রয়েছে এবং বাংলাদেশেও কমপক্ষে ৫০টি বা তার অধিক সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০ লাখ আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করে, যাদের শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষ সমতল এলাকার বাসিন্দা এবং বাকী ২৫ ভাগ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ। পার্বত্যাঞ্চল খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি এই তিন জেলার অধিবাসী। বর্তমান সরকার এ দেশের আদিবাসীদের জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আইন ২০১০ প্রনয়ণ করে পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩ (ক) ধারায় সংযোজন করেছে যা আদিবাসীদের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা ছিল। উক্ত পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে তাতে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি।

এসময় তারা আসন্ন নির্বাচনে সব দলের ইশতেহারে তাদের দাবিগুলো রাখার আহ্বান জানিয়ে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হল-

সংবিধানে আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের জন্য ‘পৃথক মন্ত্রণালয়’ গঠন, একজন আদিবাসীকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান, আদিবাসীদের জন্য সংসদে ৫ শতাংশ সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ দেওয়া, সমতলের অঞ্চলের আদিবাসীদের ভূমি অধিকার নিশ্চিতে পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে সমতল আদিবাসী নারীদের মনোনয়ন প্রদান, আইএলও কনভেশন ১০৭ এর আলোকে আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, শিক্ষা ও সরকারি চাকরির সকল স্তরে আদিবাসীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ বহাল রাখা, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে) ও প্রশাসনের বিভিন্ন কমিটিতে আদিবাসী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাসহ আদিবাসীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বন মামলাসহ ও অন্যান্য হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে,  আদিবাসী এলাকায় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প তৈরির পূর্বে আদিবাসীদের সাথে সুস্পষ্ট আলোচনা করতে হবে।

এছাড়া আদিবাসী জনগোষ্ঠির প্রকৃত সংখ্যা ও জীবিকা নির্বাহ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের মতবিরোধ রয়েছে, যা প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে আসছে। এ ক্ষেত্রে বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগে বসবাসরত ৮টি আদিবাসী জনগোষ্ঠি তথা; গারো, হাজং, কোচ, বর্মণ, বানাই, ডালু, হদি, ক্ষত্রিয় ইত্যাদি জনগোষ্ঠির উপর ২০২১ সালে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ময়মনসিংহে একটি আদিবাসী জনশুমারী পরিচালনা করা হয়েছে।

সেখানে সরকারি জরিপের মধ্যে বিরাট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে। তাই আদিবাসীদের নিয়ে পুনঃরায় একটি পৃথক জনশুমারি পরিচালনা করে আদিবাসী জনগোষ্ঠির প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় ও সংরক্ষণের দাবি জানান তারা।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা