প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৩৪ পিএম
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৮ পিএম
এফপিএবির ঢাকা কার্যালয়
মহামারি কোভিড-১৯ থেকে বাঁচতে সরকারের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফপিএবি)। ২০২০ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে মাস্ক বিতরণ, অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা, সচেতনতামূলক সভা-সেমিনার ও পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি। জেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় এফপিএবি সদস্য, মসজিদের ইমাম, সাংবাদিক ও স্থানীয় নেতাদের মধ্যে কোভিড পরীক্ষা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা সম্পর্কে সচেতন করেছে তারা।
সম্প্রতি এফপিএবির ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির প্রোগ্রাম অফিসার (ইউথ) হোসনে জাহান।
তিনি জানান, কোভিড-১৯-সহ, পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্যহীনতা, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, সহিংসতা ও বৈষম্য থেকে মুক্ত যৌনজীবন উপভোগের জন্য যুব জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে আসছে এফপিএবি। সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ১৯৫৩সালে। সরকার পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম শুরু করলে এফপিএবি সরকারের সম্পূরক ও পরিপূরক সংস্থা হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে ২৩টি জেলায় ২১টি পূর্ণাঙ্গ ক্লিনিক, দুটি বিশেষ কর্ম ইউনিট, ৭২টি এফডিসি, ২১টি তারার মেলা (যুববান্ধব ক্লিনিক) ও সিবিডি কার্যক্রমের মাধ্যমে ৫০ লাখ জনগণের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। যার মধ্যে ৫৩ শতাংশ যুব জনগোষ্ঠী।
হোসনে জাহান আরও জানান, অনেক সমস্যার মুখোমুখি হলেও লকডাউন চলাকালে সাহসের সঙ্গে কাজ করেছেন সংগঠনের কর্মীরা। এক্ষেত্রে এফপিএবির ২০টি শাখা ক্লিনিক, আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি, স্ক্রিনিং প্রটোকল, কর্মী সুরক্ষা নীতি, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ ও সুরক্ষাসামগ্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, ’আমরা এখনও কোভিড-১৯ থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারিনি। তুলনামূলক কম হলেও করোন আক্রান্ত হয়ে এখনও মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। বিশেষ করে, ৬০ বছরের বেশি মানুষ, গর্ভবতী নারী, দূর্গম এলাকা ও দ্বীপে বসবাসকারী, ৩৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সি ডায়াবেটিস আক্রান্ত, গুরুতর কার্ডিওভাসকুলার রোগ, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ, দীর্ঘস্থায়ী লিভার বা কিডনি রোগ, ক্যানসার আক্রান্ত ও টিকাবিহীন মানুষ এখনও আশঙ্কার বাইরে নয়। তাই কোভিড থেকে বেঁচে থাকতে সচেতনতা ও সতর্কতার বিকল্প নেই।’