প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৩ পিএম
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৮ পিএম
ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ফাইল ফটো
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে (ডিবি) অনেক মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে আসেন। তাদের মধ্যে অনেককে আবার ডিবি কার্যালয়ে ভাতও খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয়। ভাত খাওয়ানোর এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবি ভাইরালের পর ডিবি কার্যালয়কে ভাতের হোটেল বলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করে।
তবে এসব মন্তব্যকে ডিবি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ’ডিবির ভাতের হোটেলের বিষয়টি মানুষ রসবোধ থেকে বলছে।’
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবির ভাতের হোটেল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হারুন বলেন, ’এটা রসবোধের প্রশ্ন। বাঙালি একটা রসবোধ জাতি। বাংলা সাহিত্যে রসবোধ প্রয়োগ আমাদের মানসিক খোরাক জোগায়। আমি মনে করি, রসবোধপ্রবণ একটি বিষয় ভাত খাওয়ানো। আমরা আসলে কাউকে ডেকে এনে ভাত খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি আর পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি। সে যদি অফার গ্রহণ করে তাহলে খেয়ে যায়।’
আমরা ব্রিটিশ পুলিশ না জানিয়ে তিনি বলেন, ’আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানায় যেতে মানুষ ভয় পেত। আর এখন আমি একজন ডিআইজি হয়েও আমার কাছে শত শত লোক কোনো না কোনো কাজ আসে। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসে।’
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ’সাংবাদিকরাও বলে ডিবি একটি আস্থার জায়গা। ডিবিতে সকল মানুষের অভিযোগের কথা শোনা হয়। আমি মনে করি, ডিবি যেহেতু একটি আস্থার জায়গা, ডিবিতে সাধারণ মানুষ আসে আমরা তাদের কাজ করে দিই। আমি মনে করি, এইটা আমাদের একটা দায়িত্ব। আর ডিবি পুলিশ যে মানবিক এটার তার একটা উদাহরণ হচ্ছে—আমরা মানুষকে আপ্যায়ন করি।
’ইসলাম ধর্মে কিন্তু আছে কোনো মানুষ যদি কারও বাড়িতে আসে তাকে আপ্যায়ন করতে হয়। আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ, আমরা যদি কাউকে আপ্যায়ন করি, এটা তো খারাপ কিছু না। আর যারা রসবোধ থেকে ভাতের হোটেল বলে তারাও কিন্তু ভালো অর্থে বলে, খারাপ অর্থে বলে না। এতে আমরা উৎসাহিত হই। মানুষ আসছে কাজ করে চলে যাচ্ছে এবং খেয়ে যেতে পেরে আমাদের প্রশংসাও করছে। লাঞ্চের টাইমে খেয়ে যেতে পারলে মানুষ খুশি হয়। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করি পাশাপাশি মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষকে আপ্যায়ন করি।’