প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:০৫ পিএম
রাজধানীতে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতাহারে নদ ও নদী রক্ষার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করাসহ নয় দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নদী ও প্রকৃতি রক্ষার সংগঠন ‘নোঙর ট্রাস্ট’ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে সংগঠটির চেয়ারম্যান সুমন শামস সভাপতি করেন। তাদের দাবি তুলে ধরে বক্তব্য দেন লোকশিল্পী ও গবেষক ইমরান উজ-জামান, পরিবেশবাদী লেখক ও প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন, ফজলে সানি, জাহাঙ্গীর নিপু, আমিনুল হক চৌধূরী, আহমেদুর রহমান রুমি, সংস্কৃতি কর্মী আব্দুস সামাদ, প্রকাশক কামাল মুস্তফা প্রমুখ।
নয় দাবি –
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের সব নদী, খাল, বিল, হাওড়-বাওড়, পুকুর, জলাশয়সহ প্রাণ-প্রকৃতি সংরক্ষণের অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্তি এবং বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ করা; আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯৪০ সালের সিএস নকশা অনুযায়ী সব নদী, শাখা নদী ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং সীমানা পিলার স্থাপন করে পুনঃরায় নদীপ্রবাহ নিশ্চিত করা; রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া ৪৭টি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে বৃত্তাকার নৌপরিবহন চালু করা; নদীর অপরিকল্পিত বাঁধ ও স্বল্প উচ্চতার সেতু-কালভার্ট সংস্কার করে পরিবহনযোগ্য নৌপথ তৈরি; নদী দখল-দূষণকারী, বালুখেকো, ভূমিদস্যুদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণা করা; সমুদ্র-পাহাড়, বনভূমি, প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসকারী ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ; দেশের স্বার্থে ‘জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭’ অনুস্বাক্ষর করে সব অভিন্ন নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের বাধা অপসারণ, ফারাক্কা-তিস্তাসহ ৫৪টি আর্ন্তজাতিক নদীর পানির ন্যায্য বন্টন; দেশের নৌপথে নিহতদের স্মরণে আগামী দিনের নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চত করতে ২৩ মে ‘জাতীয় নদী দিবস’ ঘোষণা করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা।
দাবির পাশাপাশি বক্তারা বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে ৫২ বছর ধরে নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় ভরাট করে দখলের প্রতিযোগিতা বেড়েই চলছেই। আবার উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি সরিয়ে নেওয়ার ফলে বাংলাদেশের নদীগুলোতে দেখা দিয়েছে পানি সঙ্কট। অন্যদিকে দেশের মধ্যেই অতিরিক্ত পলি জমে নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। মনুষ সৃষ্ট নানা শিল্পবর্জ্যের দূষণে নদীমাতৃক দেশের প্রাণবৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। পাশাপাশি কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নানা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে নদী ভরাট করে, বালু উত্তোলন করে নদীগুলোকে ধ্বংস করেই চলছে, কোথাও আবার একাধিক নদী ব্যাক্তি মালিকানায় দখলে রয়েছে, এর অবসান হলেই কেবল দেশের পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা যাবে।