প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৯ পিএম
উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহারে দুই দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুরে শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহারে দুই দিনব্যাপী বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উৎসবে এবার প্রথম বৌদ্ধবিহারটিতে বেইন বুনে চীবর তৈরি করে তা বৌদ্ধভিক্ষুদের দান করা হয়েছে।
উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া উৎসব শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল পার্বত্য বৌদ্ধ সংঘ ও শাক্যমুনি বিহার পরিচালনা কমিটি।
আয়োজকরা জানান, শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহারে প্রতিবছর দানোত্তম কঠিন চীবর দান বা বৌদ্ধভিক্ষুদের বস্ত্র দান অনুষ্ঠান পালিত। এবার ছিল ৩৫ তম আয়োজন। এবারই প্রথম শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহারে বেইন বুননের আয়োজন করা হয়। পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহি বুনন পদ্ধতিতে বেইন বুনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কঠির চীবর তৈরি করা হয়। পরে উপ-সংঘরাজ ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথের ভান্তের সভাপতিত্বে পূজণীয় ভিক্ষু সংঘকে সেই কঠিন চীবর দান করা হয়। এই বৌদ্ধবিহারের যেসব ভিক্ষু তিন মাসের বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান সফলভাবে শেষ করেছেন, তারা এই দানোত্তম কঠিন চীবর পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ভিক্ষু সংঘের পক্ষে সদ্ধর্ম দেশনা করেন, ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ মহাথের ভিক্ষু, উপ-সংঘরাজ, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ, গুণপ্রিয় মহাথেরো, উপতিষ্য স্থবির, বিপর্সী মহাথেরো ভিক্ষু প্রমুখ।
এতে উপস্থিত ছিলেন বহু বিদগ্ধ ও প্রজ্ঞা ভিক্ষু সংঘ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রতিবারের মতো পাহাড় ও সমতল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট বৌদ্ধ মনীষী ও ঢাকার সদ্ধর্ম পিপাসু বৌদ্ধ দায়ক-দায়িকাগণ উপস্থিত ছিলেন। বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি নবজ্যোতি খীসা স্বাগত বক্তব্য দেন। আরও বক্তব্য দেন জ্ঞানেন্দ্রীয় চাকমা, প্রকৌশলী পুলক জীবন খীসা, কীর্তি নিশান চাকমা, গৌতম অরিন্দম বড়ুয়া, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) পরিমল বিকাশ চাকমা প্রমুখ।