প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২২ পিএম
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং কর অঞ্চল-৯ এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে সেনা মালঞ্চে দুই দিন ব্যাপী আয়কর প্রদান কার্যক্রম। ছবি : আইএসপিআর
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং কর অঞ্চল-৯ এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে সেনা মালঞ্চে দুই দিন ব্যাপী আয়কর প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) এ কার্যক্রম শুরু হয়।
আইএসপিআর জানায়, এ কার্যক্রমের বিভিন্ন বুথ পরিদর্শন করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী ও কর অঞ্চল-৯ এর কর কমিশনার সফিনা জাহান। এ কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সকল সদস্যকে আয়কর প্রদানে আর উৎসাহ ও সহযোগিতা দেওয়াসহ আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজতর করার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং কর অঞ্চল-৯ এর যৌথ উদ্যোগে ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ঢাকা সেনানিবাসস্থ সেনামালঞ্চে সশস্ত্র বাহিনী আয়কর প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। যা সামরিক ও অসামরিক পরিমণ্ডলে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে ইতিমধ্যে বিবেচিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবং চলতি বছরের আয়কর প্রতিবেদন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বরকে বিবেচনায় নিয়ে এবারেও দুই দিনব্যাপী ঢাকা সেনানিবাসে ‘সেনামালঞ্চ’ এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ কার্যক্রম প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সকল সদস্য আয়কর রিটার্ন সম্পর্কিত সকল প্রকার (আয়কর রিটার্ন জমা, টিআইএন গ্রহণ, অনলাইন রিটার্ন দাখিল প্রভৃতি) সুবিধাদি নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে আয়কর প্রদান বা রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বছর এই কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ব্যবস্থাপনায় কর অঞ্চল-১ এর সার্কেল-১৮৬, ১৯০ ও ১৯৫ এর আওতাধীন করদাতাদের সুবিধার্থে ১৫টি রিটার্ন গ্রহণ বুথ, ১টি ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথ, ২টি হেল্প ডেস্ক ও ১টি তথ্য সেবা কেন্দ্রের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, সিনিয়র সিটিজেন এবং নারী করদাতাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থ থাকবে। চালান সম্পর্কিত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং সোনালী ব্যাংকের দুটি বুথ স্থাপন করা।
প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও কর অঞ্চল-৯ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই আয়কর প্রদান কার্যক্রমে রাজস্ব আদায়ের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে এই রাজস্ব আদায়ের হার ছিল প্রতিবছর ৫ কোটি টাকারও বেশি এবং রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪ হাজার ৫০০টি। চলতি বছরেও উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক রিটার্ন দাখিল এবং রাজস্ব আদায় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।