বিপ্লবী লীলাবতী নাগকে নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী

বিপ্লবী লীলাবতী নাগের জীবন ও কর্মকে ঘিরে নির্মিত ‘লীলাবতী নাগ : দ্য র‍্যবেল’ তথ্যচিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এ প্রদর্শনী হয়। 

লীলাবতী নাগ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী নারী। এর বাইরে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পুরোধা নারী নেত্রী।সর্বোপরি তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক, নারী শিক্ষার প্রচলনকারী এবং নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার সুদক্ষ কারিগর।  

লীলাবতী নাগ ১৯২৩ সালে এই উপমহাদেশের প্রথম নারী সংগঠন ‘দিপালী সংঘ’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩১ সালে প্রকাশ করেন নারী পত্রিকা দিপালী সংঘের মুখপত্র ‘জয়শ্রী’। ঢাকা, মৌলভীবাজার ও মানিকগঞ্জে লীলা নাগ প্রতিষ্ঠা করেন ১২টির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখনো ঠিকে আছে ৪টি। 

এই কীর্তিমান নারীকে নিয়ে তথ্যচিত্রটির গবেষণা ও প্রযোজনা করেছেন এলিজা বিনতে এলাহী। পরিচালনা করেছেন এ আর এম নাসির। ১ ঘন্টা ৬ মিনিটের তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে লীলানাগের কীর্তিগাথা। বাংলাদেশ ও কলকাতায় লীলানাগের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোতে তথ্যচিত্রটির শুটিং করা হয়েছে। লীলাবতী নাগের ছেলের সাক্ষাৎকার রয়েছে তথ্যচিত্রে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফাউন্ডার ট্রাস্ট্রি মফিদুল হক, চলচ্চিত্র নির্মাতা মানজারে হাসান মুরাদ, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের ডিরেক্টর মৃণ্ময় চক্রবর্তী, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, প্রযোজক এলিজা বিনতে এলাহী, পরিচালক আবু রেজওয়ান নাসির প্রমুখ।

তথ্যচিত্রটির প্রযোজক এলিজা বলেন, ‘প্রথম যখন লীলাবতী নাগ সম্পর্কে জানতে পারি, জানার ইচ্ছা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু, দেখলাম তাকে নিয়ে কোথাও কোনো আলোচনা নেই। তখনই সিদ্ধান্ত নিইÑ তথ্যচিত্রটি বানাব। তিনি নারীদের এগিয়ে যাবার পথটা সহজ করে দিতে অনেক সংগ্রাম করেছেন বলেই একজন নারী হয়েও আমি আজ কিছু করার সাহস পাচ্ছি।’