প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২২ পিএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩০ পিএম
যাত্রীর দেখা নেই গাবতলী বাস টার্মিনালে। বুধবার দুপুরে তোলা। প্রবা ফটো
তৃতীয় দফায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ তাদের সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন গাবতলী বাস টার্মিনাল অনেকটা যাত্রীশূন্য। অধিকাংশই দূরপাল্লার বাস বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, এদিন সকাল থেকে সুনশান নিরব গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা। অন্যান্য দিনের মতো নেই হাকডাক। নেই যাত্রীদের কোলাহল।
দূরপাল্লার বাসের কাউন্টার বন্ধ। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না। তবে ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া রুটের সেলফি পরিবহন এবং ঢাকা-সিংগাইর রুটের শুকতারা পরিবহনের বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে সড়কে যানবাহন কম থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এসব এলাকায় অবরোধের সমর্থনে কোনো মিছিল-পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।
গাবতলী বাস টার্মিনালের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কোন কোন কাউন্টার খোলা থাকলেও অলস সময় পার করছেন বাস শ্রমিকরা। কেউ কেউ কাউন্টারের কম্পিউটার গেম খেলছেন, মুভি দেখছেন এভাবেই সময় পার করছেন তারা। টার্মিনাল এলাকার দু একটি দোকানপাট ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে কাউন্টারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ফলের দোকানগুলো।
ঢাকা-শেরপুর-জামালপুর রুটের এম আর শেরপুর এক্সপ্রেস পরিবহনের সুপারভাইজার শিপন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় এসেছি। এরপর অবরোধের কারণে বাস ছাড়া হয়নি। যাত্রীও নেই। আজ সন্ধ্যার পর শেরপুরের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যাবে।’
ঢাকা-সিংগাইর পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার রানা জানান, ‘যাত্রী না থাকার কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল।’
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মজিবুর রহমান জানান, দুপুর একটা-দেড়টার মধ্যে অন্যান্য দিনে থেকে ২২টি গাড়ি গাবতলী বাস টার্মিনাল ছেড়ে যেত। সেখানে আজ সকাল থেকে যাত্রী সংকটের কারণে কোনো বাস ছাড়া যায়নি।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের কাউন্টার ম্যানেজার স্বপন চন্দ্র দাস জানান, তাদের পরিবহন ঢাকা-ঈশ্বরদী রুটে চলাচল করে। অবরোধের কারণে কোনো বাস ছাড়া হয়নি। তবে সন্ধ্যার পরে তাদের পরিবহন ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আজ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত রাত ৯টার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে একটি।
ঢাকা-গোপালগঞ্জ-পিরোজপুর রুটের সেবা গ্রীন লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভোর সাড়ে পাঁচটায় এসে কাউন্টার খুলেছি। দুপুর পর্যন্ত কোনো যাত্রী আসেনি। এ কারণে গাড়ি ছাড়া সম্ভব হয়নি। অন্যান্য দিনে দুপুর পর্যন্ত অন্তত পাঁচ সাতটি বাস ঢাকা ছেড়ে যেত।’